• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনৈতিক ঐক্যে টিকে থাকার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে জামায়াত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০১৯  

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এখন আর বাংলাদেশের নিবন্ধিত কোনও রাজনৈতিক দল নয়। যদিও তাদের সাংগঠনিক কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই। তাছাড়া বিএনপি তাদের প্রধান প্রশ্রয়দাতা হওয়ায় তারা ব্যাপক আকারে বিএনপির ছদ্মবেশে সাংগঠনিক কাজ চালাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনীতির স্বার্থে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতাবিরোধী ধারায় মোটিভেট করছে। যা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত।

দেশকে জামায়াতমুক্ত করতে হলে প্রথমেই দরকার দেশের সাধারণ মানুষের ভেতর একটা ঐক্য গড়ে তোলা দরকার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত। আওয়ামী লীগকে বিরোধিতা করতে গিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এমন পর্যায়ে চলে যায়, যার সুযোগ নেয় জামায়াতে ইসলামীসহ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলো। তাদেরকে রুখতে হলে প্রথমে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর শুদ্ধাচার শুরু করাটা জরুরি বলে মনে করছেন তিনি।

জামায়াতের রাজনীতি বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে মাঠের রাজনীতিতে প্রতিরোধ করতে হবে জামায়াতকে। স্বাধীনতাবিরোধী ধারা জামায়াতকে নিঃশেষ করার দায়িত্ব একজন সচেতন নাগরিকও এড়িয়ে যেতে পারেন না। বর্তমান সরকারের দৃঢ়তা ও সাহসের কারণে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। বিচারের কারণে জামায়াতের ঊর্ধ্বমুখী বিষবৃক্ষের ডালপালা কর্তন করা সম্ভব হয়েছে।

এ আরাফাত আরো বলেন, বাস্তবে দেশ যতই গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করবে, সামরিক শাসকের উত্তরাধিকারের খপ্পর থেকে যতই বেরিয়ে আসবে, ততই তাদের মুখোশ খুলে যাবে। ড. কামাল বা অন্যান্য কুশীলবরা জামায়াতের পক্ষে থেকে খুব বড় কিছু করতে পারেনি। কারণ এদের প্রভাব সমাজে খুবই কম এবং তা ২০১৮ সালের নির্বাচনের ভেতর দিয়ে চিহ্নিত হয়ে গেছে। সুতরাং জামায়াতকে প্রশ্রয়দাতারা যে এই সমাজে ঘৃণিত এবং প্রত্যাখ্যাত সেটি আবারো একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে।