• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মির্জা ফখরুলকে আলটিমেটাম ছাত্রলীগের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৮  

ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করেছে ও আগুন দিয়েছে বলে বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা জানিয়েছে ছাত্রলীগ। এ জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছাত্রলীগ বলেছে, অন্যথায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ মিছিলপরবর্তী সমাবেশে এ ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বক্তব্য দেন।

গোলাম রাব্বানী বলেন, সারা দেশের মানুষ যখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিনা উসকানিতে ছাত্রদলের ক্যাডাররা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করেছে। যানবাহন ভাংচুর ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। উল্টো এর দায় চাপানো হয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর।

তিনি বলেন, যারা হামলা করেছে তারা সবাই ছাত্রদল ও বিএনপির ক্যাডার। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম তাদের ছাত্রলীগের ‘হেলমেট বাহিনী’ বলে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। এ কারণে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে।

সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন বলেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা তত উচ্ছৃঙ্খল হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।

নীল দলের নিন্দা: বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দায়িত্ব পালনরত পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

বৃহস্পতিবার নীল দলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশে আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। এ পরিস্থিতিতে পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিবৃতিতে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।