• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দল বদল ঠেকাতে ফাঁকা বুলি ছুড়ছেন ড. কামাল

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক: গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, রাজনীতিতে আমাদের যা করণীয় তা আমরা করব। প্রয়োজনবোধে শিগগিরি আন্দোলনে নামব। রাজনীতি সচেতন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, ড. কামাল মূলত তার বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতা-কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

১২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে ড. কামালের এমন বক্তব্য দেয়ার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।

এদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার জন্য ড. কামালের আহ্বানকে ফাঁকা বুলি হিসেবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জোটগত সাংগঠনিক শক্তির অভাবে মাঠের আন্দোলন বাদ দিয়ে বাক্যবাণে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে এবং হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের দলত্যাগ ঠেকাতে এমন কৌশল অবলম্বন করেছেন ড. কামাল বলেও মনে করছেন তারা।

ড. কামালের এমন বক্তব্যকে লোক দেখানো এবং ফাঁকা বুলি দাবি করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে ঐক্যফ্রন্টের সাংগঠনিক শক্তির বিষয়ে ভালোমতো অবগত হতে পেরেছে দেশবাসী। ঐক্যফ্রন্ট বা ড. কামাল যে কাগজের বাঘ সেটি প্রমাণ হতে বাকি নেই। মাঠের রাজনীতিতে অচল পয়সা খ্যাত ড. কামালরা বিএনপি-জামায়াতের ঘাড়ে চেপে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করছেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে বিএনপি-জামায়াত বা ঐক্যফ্রন্টের করার আসলে কিছু নেই। তাদের ওপর জনগণের আস্থা নেই। আস্থা থাকলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাদের এমন পরাজয় হতো না। যখন দলে দলে নেতা-কর্মীরা ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে অন্যদলে যোগদান করছেন, তখন ড. কামালরা উঠেপড়ে লেগেছেন সেই ঢল থামাতে। নদীতে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কোনো লাভ হয় না, সেটি হয়তো ভুলে গেছেন ড. কামাল। ঐক্যফ্রন্ট টিকে আছে কিন্তু কঙ্কালসার হয়ে।

অন্যদিকে, ড. কামালকে দিকভ্রান্ত পথিক মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।  তিনি বলেন, যখন তিনি জেনে-শুনে জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন, তখন ড. কামালের সকল অর্জন ম্লান হয়ে গেছে। মুখে বড় বড় কথা বললেও ক্ষমতার লোভ সামাল দিতে না পেরে তিনি দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। রাজপথের রাজনীতিতে কোনোদিনই জনসমর্থন পাননি ড. কামাল। সরকারবিরোধী বক্তব্য দিয়ে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। ড. কামাল হয়তো ভুলে গেছেন, রাজনীতি হয় রাজপথে, এসি রুমে বসে খাতা-কলমের আঁচড়ে নয়। শব্দের খেলায় রাজনীতি পরিবর্তন সম্ভব নয়।  রাজনীতিতে জনগণের ম্যান্ডেট প্রয়োজন হয়, বিদেশিদের আমন্ত্রণ আর ষড়যন্ত্রে নয়।