• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সুস্থ আছেন এরশাদ: জাতীয় পার্টি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮  

দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘রুটিন চেকআপের জন্য’ এক দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ছিলেন তিনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এরশাদ সিএমএইচে ভর্তি হলে তার অসুস্থতার খবর ছড়ায়।

দশম সংসদ নির্বাচনের আগেও ‘নাটকীয়’ অসুস্থতা নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হয়েছিলেন এরশাদ; তাই এবার সিএমএইচে যাওয়া নিয়েও নানা গুঞ্জন ছড়ায়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায় অসুস্থতার খবরটি ‘গুজব’ বলে নাকচ করেন।

তিনি রোববার বলেন, “স্যার রুটিন চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। উনি নিয়মিতই যান।

“ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, মেজর জেনারেল পদমর্যাদার চিকিৎসকরা স্যারের ট্রিটমেন্ট করছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন টেস্টের জন্য তাকে একদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল।”

জাতীয় পার্টির প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, এরশাদ ‘সুস্থ রয়েছেন’। তিনি এখন বারিধারায় নিজের বাড়িতে রয়েছেন।

এ বছর নির্বাচনী প্রচার শুরুর পরও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এরশাদ। তখনও তিনি সিএমএইচে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন।

গত শনিবার জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল এরশাদের। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি তা নিতে পারেননি। পরে তারিখ পিছিয়ে মঙ্গলবার সকালে দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে জাতীয় পার্টি।

বিএনপি বর্জনের ঘোষণা দিলে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা এরশাদও দিয়েছিলেন।

ভোটের আগের মাসে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নাটকীয়ভাবে এরশাদকে র‍্যাব সিএমএইচে নিয়ে ভর্তি করায়। র‌্যাব তখন তার অসুস্থতার কথা বললেও জাতীয় পার্টির নেতারা দাবি করেন, তাদের চেয়ারম্যান অসুস্থ ছিলেন না।

ওই নির্বাচনে হাসপাতালে থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এরশাদ; পরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতও করা হয় তাকে। জাতীয় পার্টি সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসন নেয়, এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ হন বিরোধীদলীয় নেতা।

পরে এরশাদ বলেছিলেন, হাসপাতালে থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ‘সময় হলে’ সব কথা বলবেন তিনি। কিন্তু চার বছরেও তার মুখ থেকে কিছু বের হয়নি।

এবার এরশাদ রংপুর-৩, সাতক্ষীরা-৪ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিএনপি ভোটে আসায় জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে মহাজোটের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে দলটির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জানালেও এরশাদ এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাননি।