• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে নোমানের গায়ে হাত তুললেন বিএনপি নেতা মোশাররফ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০১৯  

 নতুন করে বিএনপিকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন তারেক রহমান। সেজন্য ইতোমধ্যেই দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সব ধরনের সভা সমাবেশে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এবার দলের মহাসচিব পদের জন্য দলে তৈরি হয়েছে নেতৃত্বে যাবার অভিনব এক দ্বন্দ্ব। সেই সূত্র ধরে বিএনপি নেতা মোশাররফ তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে চরম খারাপ ব্যবহার করছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। জানা যায়, ৩ মার্চ দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে এসে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে অপমান করে তার গায়ে হাত তোলার মতো গর্হিত কাজ করতেও পিছপা হননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা নোমানের এক অনুসারী বলেন, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। একই সময়ে সমাধি প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তাদের দু’জনের মধ্যে আগে থেকেই দলের নেতৃত্ব নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চলে আসছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার কর্মীদের দিয়ে নোমান সমর্থকদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন। এসময় আব্দুল্লাহ আল নোমান সকল নেতাকর্মীদের শান্ত রাখার চেষ্টা করতে গেলে হঠাৎ ড. মোশাররফ উত্তেজিত হয়ে তেড়ে আসেন। এসময় তিনি বিএনপি নেতা নোমানকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে তার কলার চেপে ধরে বিএনপি থেকে পদত্যাগ না করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

এ ঘটনা সম্পর্কে বিএনপি নেতা ড. মোশাররফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে গেলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান আমাকে উদ্দেশ্য করে বাজে মন্তব্য করেন। এতে তার সাথে আমার বাদানুবাদ হয়েছে এটা সত্য। তবে আমি তার গায়ে হাত তুলেছি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট কথা। বরং বিএনপি নেতা নোমান আমাকে আঘাত করে আমাকে অপমান করেছেন। সেটি কৃষক দলের সাধারণ নেতাকর্মী যারা সেখানে উপস্থিত ছিল সবাই বিষয়টি জানে।

বিএনপিতে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নাম করে কিছু বিএনপি নেতা সুবিধা নিতে চাইছেন। ড. কামাল মূলত সরকারের হয়ে কাজ করছেন। তিনি বিএনপির কিছু শীর্ষ নেতাকে ইতোমধ্যেই টাকার বিনিময়ে কিনে ফেলেছেন বলেই জেনেছি। আর তাদের মধ্যে একজন হলেন বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। তাই এসব আগাছা পরিষ্কার করার জন্য দলে একটু বিভক্তি সৃষ্টি হলে ক্ষতি হবে না।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবি হবার পর থেকে বিএনপির মধ্যে অন্তর্কোন্দলগুলো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। যার নমুনা সারাদেশে দলের তৃণমূল নেতাদের বহিষ্কার করার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি শুরু করেছে বলেই প্রতীয়মান হয়।