• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ইচ্ছামত দল চালাতে তারেককে দেশে ফেরাতে চান না

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০১৯  

তারেক রহমানের আসল মুক্তি সেদিন হবে যে দিন তিনি বাংলাদেশের মাটিতে এসে আবার রাজনীতি শুরু করতে পারবেন। সে দিনটা বিএনপিকে তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে টুকুর বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। জিয়া পরিবারের রাজনীতিকে নিঃশেষ করার জন্য ছদ্মবেশী বিএনপির সিনিয়র নেতারা দায়ী বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ দলটির বিভিন্ন সারির নেতারা।

তারেক রহমান ও বিএনপির বর্তমান ভঙ্গুর দশার জন্য সিনিয়র নেতাদের দায়ী করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। তার মতে, তারেক রহমানকে বিদেশে হতভাগ্যের জীবন বরণ করতে হয়েছে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ভুলের কারণে। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে দলের নেতারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি করে তারেক রহমানের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন কৌশলে। দুর্নীতিবাজরা কিন্তু দেশে ঠিকই বহাল আছেন। অথচ বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্ণধারকে আজকে বিদেশে ভ্রাম্যমাণ জীবন যাপন করতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আজকে লোক দেখানো বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের নামে গলাবাজি করা হচ্ছে। আসলে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দই তারেক রহমানকে দেশের রাজনীতিতে চান না। ইচ্ছামতো দল চালাতে কৌশলে তারেক রহমানকে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে খোদ বিএনপির গুটি কয়েক সিনিয়র নেতা। জিয়া পরিবারকে বিএনপির রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ঘৃণ্য পায়তারা করছে এই কুচক্রী মহল। বিষয়টি ন্যক্কারজনক এবং জিয়া পরিবারের জন্য হুমকিস্বরূপ।

বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, তারেক রহমানের নামে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ রয়েছে, একাধিক মামলার রায়ও হয়েছে। তিনি চাইলেও দেশে ফিরতে পারবেন না। ফলে আমরা তারেক রহমানকে বিএনপির রাজনীতি থেকে মাইনাস করার কোন পরিকল্পনা করছি না। টুকু যা বলেছেন তা অনেকাংশে সত্য। তবে আমাদের দলীয় কিছু সমস্যাও রয়েছে। এটি সত্য যে, বয়সের তারতম্যের কারণে দলের অনেক সিনিয়র নেতা তারেক রহমানের আদেশ-নিষেধ মানতে চান না। বিষয়টি নিয়ে বিরোধ থাকলেও সেটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি অচিরেই বিএনপির দুর্দশা দূর হবে। আমরাও চাই বিএনপির রাজনীতিতে জিয়া পরিবারের কর্তৃত্ব বজায় থাকুক। দল তৈরি করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। চাইলেই আপনি দলের মালিককে ত্যাজ্য করতে পারেন না।