• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কৌশলে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা’ নিয়েও রাজনীতি করছে বিএনপি!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৯  

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধরাশায়ী বিএনপি বরাবরই নতুন নতুন কৌশলে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সচেষ্ট হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ বিএনপির প্রত্যেক কৌশলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তবু থেমে নেই তারা। সম্প্রতি নারী দিবস উপলক্ষে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছে যে, দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। অথচ নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই বিএনপির এমন অপকৌশলকে ‘অভিযোগের ইশতেহার’ বলে উল্লেখ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অর্জন অসামান্য। সর্বস্তরের নারীর সার্বিক নিরাপত্তা তত্ত্বাবধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সম্প্রতি সময়ে প্রায় প্রতি বছরই জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নানা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার এমনকি প্রধান বিরোধী দলের চেয়ারপারসনও একজন নারী। সরকারের দ্ব্যর্থহীন প্রচেষ্টায় যা আজ বিশ্ব দরবারে সমাদৃত। দেশের নারীদের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা বিধান থেকে ব্যক্তি নিরাপত্তার প্রতিটি স্তরে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকার নারীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রশাসনের উচ্চপদে ৫৩৫ জন নারী, ৯ জেলার ৯ জন নারী ডিসি, চ্যালেঞ্জিং পেশা পুলিশে নারীর অংশগ্রহণ ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে সবক্ষেত্রে নারীর জয়-জয়কার এবং সফলতার সাথেই। গবেষণায় এসেছে, বাংলাদেশে নারীর অংশগ্রহণ প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, বিএনপি বর্তমানে ‘অভিযোগের ইশতেহারে’ পরিণত হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত-বাস্তবতা বিবেচনা না করেই তারা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অভিযোগ করেন। এসব ভ্রান্ত অভিযোগের ফলে যে তাদের নিজেদেরই ক্ষতি হয় তা তারা বোঝে না। যেখানে দেশের প্রতিটি খাতকে অগ্রসরমান করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার, সেখানে বিএনপি পড়ে আছে ভ্রান্ত অভিযোগ নিয়ে। নারীর নিরাপত্তা বিধানে বর্তমান সরকার নিজ উদ্যোগে যেসব কাজ করে যাচ্ছেন তা বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হচ্ছে। আর বিএনপি সেগুলোকে সাধুবাদ না জানিয়ে অভিযোগের ঝুড়ি সাজিয়ে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের মনোবাসনা কখনই পূর্ণ হবে না, কেননা- দেশের মানুষ জানে দেশ সার্বিক দিক দিয়ে কতোটা এগিয়ে চলেছে।

নারীর অগ্রগতি সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন বলেন, বিগত ১০ বছরে নারীরা অনেক এগিয়েছে। শিক্ষা, ব্যবসা, কর্মসংস্থান, আয়মূলক কর্মকাণ্ড, রাজনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, বিশ্বের মধ্যেও নারী উন্নয়ন সূচকে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশের নারীরা। তার মতে, এক সময় গৃহস্থালি কাজকর্ম, সন্তান লালন-পালনসহ এ ধরনের কাজের স্বীকৃতি ছিল না। বর্তমানে এসবের আর্থিক মূল্য না দেয়া হলেও কাজ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যা নারী সমাজের মর্যাদা বাড়িয়েছে।

দেশের সচেতন মহলের প্রতিনিধিরা বলছেন, নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা বিধানে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই অগ্রগতিকে কেউ অস্বীকার করলে সেটা হবে ‘বোকার স্বর্গে বাস’।