• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বস্তাভর্তি ভুয়া ব্যালট দিয়ে ডাকসু নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০১৯  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দিন কুয়েত মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি সিল মারা নকল ব্যালট পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ব্যালটে একটি নির্দিষ্ট সংগঠনের প্রার্থীদের পক্ষে সিল মারা ছিল। এ ঘটনায় ওই হলের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। সূত্র বলছে, ছদ্মবেশে নিষিদ্ধ শিবির কর্মীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের সাথে মিশে ডাকসু নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য সব রকম প্রয়াস চালায়। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন হলের কমন রুমে বস্তাভর্তি ভুয়া ব্যালট রেখে ডাকসু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করে তারা।

এ প্রসঙ্গে ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, শিবিরের বর্তমান নেতারা ডাকসু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সব রকম ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছিল। বিশেষ করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সাথে ছদ্মবেশে শিবির কর্মীদের অবস্থানের বিষয়টি অনেক পুরনো পরিকল্পনার অংশ। আর বিভিন্ন হলে বস্তাভর্তি ভুয়া ব্যালট রেখে ডাকসু নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য সরাসরি শিবিরের শীর্ষ নেতাদের ইশারা রয়েছে, এনিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

ছাত্রশিবিরের সাবেক এই নেতা জানান, শিবির নেতারা নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের পেছনে থেকে আশ্রয় নিয়ে টিকে থাকতে চাইছে। এছাড়াও বিভিন্ন বাম সংগঠনগুলোর সাথে মিশে নিজেদের আড়ালে রেখে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলাটে করার জন্যও মাঠে কাজ করছে। ডাকসু নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য কুয়েত মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি ভুয়া ব্যালট শিবির কর্মীরা কৌশলে রেখেছিল, যা তাদের রাজনৈতিক নষ্ট আদর্শের চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দেয়।

এ সম্পর্কে কুয়েত মৈত্রী হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের দিন সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই অন্যান্য হলের মতো কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রক্টর ও হল প্রভোস্ট মিলে ব্যালট বাক্স হলের রিডিংরুমে নিয়ে যান।  ঠিক সে সময় অজ্ঞাত দু’জন যুবককে রিডিংরুম থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। রিডিংরুম থেকে এসময় বস্তাভর্তি ভুয়া ব্যালট উদ্ধার করে প্রক্টরিয়াল সিকিউরিটি টিম।

এ বিষয়ে হলের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী নুরুন্নাহার কলি অভিযোগ করেন, তারা একটি বস্তা পান। পরবর্তীতে সিসিটিভি‘র ফুটেজে দেখা যায়, ছাত্রশিবিরের দু’জন নেতা ডিবি পরিচয় দিয়ে ভুয়া ব্যালটের একটি বস্তা নিয়ে কুয়েত মৈত্রী হলে প্রবেশ করে। এরপর তারা তা রিডিংরুমে রেখে যায়। এটি ডাকসু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই মনে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ডাকসু নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র নুর-রাশেদ-ফারুক প্যানেলকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্র শিবির সমর্থন জানায়। ১০ মার্চ সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি এই সমর্থন জানায় সংগঠনটি। এরপর থেকে তাদের ছদ্মবেশী কর্মীদের ডাকসু নিয়ে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে মাঠে সক্রিয় হতে দেখা যায়।