• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মহাসচিব পদ থেকে সরে যাচ্ছেন ফখরুল ও খালেদার আইনজীবী প্যানেল

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০১৯  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর মহাসচিব পদ থেকে মির্জা ফখরুল এবং দীর্ঘ এক বছরেও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত আসামি বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করতে না পারায় আইনজীবী প্যানেল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতারা বলছেন, মূলত মওদুদ আহমেদের সমন্বয়হীনতার ও গাফিলতির কারণেই খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করা যাচ্ছে না। এছাড়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হবার পর তার আপিল নিয়ে নানা সমন্বয়হীনতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন বাস্তবতায় সরে দাঁড়াচ্ছেন মওদুদ আহমেদ। অপরদিকে দলীয় ভঙ্গুর অবস্থা, শারীরিক অক্ষমতা, তারেক রহমানের অসদাচরণে বিরক্ত হয়ে মহাসচিব পদ থেকে সরে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল।

তবে মির্জা ফখরুলের সমর্থক বলছেন, বিগত সময়ে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জামায়াত নেতাদের দুর্নীতি, লুটপাট ও দেশ বিক্রির রাজনীতি প্রত্যক্ষ করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন মির্জা ফখরুল। বর্তমানে একজন জেলে এবং আরেকজন বিদেশে পালিয়ে থেকেও বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চিন্তা বাদ দিতে পারছেন না। আর এই কারণেই সরে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল।

কিন্তু তারেক রহমান সমর্থক বিএনপির এক নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল ও মওদুদ আহমেদ তারেক রহমানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে জেনে-বুঝেই গাফিলতি করে দলের বারোটা বাজিয়েছেন। যার কারণে তারেক রহমান নিজেই মওদুদ ও ফখরুলকে সরিয়ে দিচ্ছেন। দলীয় বিভিন্ন ইস্যুতে মওদুদ আহমেদসহ সিনিয়র অনেক নেতাই তারেক রহমানকে অসম্মান করে কথা বলায় তারেক রহমানের সমর্থকরা তাদের উপর খুবই বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ।

এ বিষয়ে খানিকটা আক্ষেপ করে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির এখন উচিত হবে সমন্বিতভাবে কাজ করা। দলের এই ক্রান্তিলগ্নেও যদি তারা একে অপরের সঙ্গে এমন আচরণ করেন, তবে ২০২৫ সালে তো দূরের কথা, ২০৪১ সালেও পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারবে না বিএনপি।