• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ইন্টারনেটে রমজান সম্পর্কে যে ১০ প্রশ্ন বেশি খোঁজে মানুষ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০১৯  

রমজান মাস আসলেই মুসলিম কিংবা অমুসলিম অনেকেই রমজান সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে চেষ্টা করে। আর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ইন্টারনেট। আবার ইন্টারনেটের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের আশ্রয় নেয়া হয় বেশি।

গুগলের জরিপে ওঠে এসেছে যে প্রশ্নগুলো বেশি জানতে চায় মানুষ। তেমন ১০টি প্রশ্ন ও তার উত্তর ওঠে এসেছে গুগুলে। যা তুলে ধরা হলো-

> রোজা অবস্থায় পানি পান করা যাবে কি?
>> এ প্রশ্নের উত্তরে ওঠে এসেছে, না, রোজা অবস্থায় পানি পান করা যাবে না। পানি পান না করলে কোনো মানুষ মারা যায় না। মানুষ পানি পান না করে ৪দিন বাঁচতে পারে।

> রমজান বা রোজা কিভাবে রাখতে হয়?
>> এ প্রশ্নের উত্তরে গুগল জানায়, ‘ভোরবেলা (সুবেহ সাদিক) থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাবার গ্রহণ (পানাহার) এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হয়। দিনের বেলার এ নির্ধারিত সময়ে পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা রাখতে হয়।

> রোজা রাখা কি খুব কঠিন?
>> এ প্রশ্নের উত্তরে ওঠে এসেছে, ‘নির্দিষ্ট সময় খাবার বা পান করা থেকে বিরত থাকলে মানুষ মারা যায় না বরং সে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানা যায়, কেউ যদি বছরে এক মাস যাবত দিনে না খেয়ে থাকে তাহলে তার পাকস্থলি ও হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকে।

> রমজানে (দিনের বেলা) না খেলে কী ওজন কমে?
>> গুগলে এ প্রশ্নের উত্তর এসেছে, ‘ডায়েট কন্ট্রোল করা আর রমজানের রোজা রাখা এক নয়। অর্থাৎ রমজান কাউকে না খেয়ে থাকতে বলেনি। নির্দিষ্ট একটা সময় খাবার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে ইবাদত পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

> সূর্যাস্তে সঙ্গে সঙ্গে রোজা ভাঙার বিধান তবে কি আকাশ মেঘলা হলে রোজা ভাঙা যাবে না?
>> এর উত্তরে এসেছে, এটা কোনো কথা হলো না; আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও সূর্যাস্তের নির্ধারিত সময় থাকে। নির্ধারিত সময়ে রোজা ভাঙা।

> মুসলমানরা কি রমজানের ৩০দিন দিনের বেলা আহার করে না?
>> এ প্রশ্নের উত্তরে এসেছে, হ্যাঁ, রমজানের ৩০ দিন নির্ধারিত সময় (ভোর থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত) উপবাস পালনের নামই রোজা। আর এটা ইবাদত।

> গোপনে কেউ কিছু খেলে কি রোজা ভাঙবে?
>> উত্তরে এসেছে, ‘মুসলিমরা রোজা পালন করে আল্লাহর জন্য। আর আল্লাহ তাআলা সর্বাবস্থায় মানুষকে দেখেন।

> মুসলমানরা কি সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত শুধু খেতেই থাকে?
>> উত্তরে এসেছে, ‘না’, এটা কেন হবে। বরং মুসলমানদের রোজা ভাঙার জন্য ইফতার খাওয়া সুন্নাত। তারা সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার খায়। খাবার খায়, সাহরি খায়। ভোর রাতে সাহরি খাওয়া সুন্নাত ও কল্যাণ।

> রোজাবস্থায় মুসলমানরা ব্রাশ বা গোসল থেকেও কি বিরত থাকে?
>> এ প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, ‘না’, ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকবে কেনো? ব্রাশ করেই সাহরি খায়, ইফতার করে। আর রোজাবস্থায় গোসল করতেও কোনো বাধা নেই। গোসল করতে পারে। রমজানের দিনের বেলায় শুধু নিষেধ হলো- ‘দিনের বেলায় পানাহার আর স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।’

> রোজাবস্থায় লিপিস্টিক ব্যবহার করা যাবে?
>> এ প্রশ্নে বলা হয়, ‘রোজাবস্থায় লিপিস্টিক ব্যবহার করতে পারবে, তবে যদি মুখে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে লিপিস্টিক ব্যবহার করতে পারবে না।’

আরবি বছরের নবম মাস রমজানে রোজা পালন মুমিন মুসলমানের জন্য ফরজ ইবাদত। এ ইবাদত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘হে ঈমাদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)

রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিল সম্পর্কে বিশ্বনবির অসংখ্য বর্ণনার মধ্যে একটি হলো- যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ করল, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ কাজ করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ কাজ করল, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরজ কাজ করল।’ (বায়হাকি)

তাইতো মুমিন মুসলমান সর্বোচ্চ সতর্কতা ও আন্তরিকতায় রমজান মাসব্যাপী রোজা পালনের সঙ্গে নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকারসহ যাবতীয় নফল ইবাদত-বন্দেগিতে ব্যস্ত থাকে।