• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

কোরআন শিক্ষার আসর, প্রতিদিন ৫ আয়াত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২০  

পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াত ও অধ্যয়ন নিয়মিত করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অন্যথায় কোরআনের বরকত থেকে বিরত হওয়ার ঘোষণা এসেছে-

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা কোরআনের ব্যাপারে যত্নবান হও। আল্লাহর কসম! রশি ছেড়ে দেয়ার পর উট যেমন দ্রুত পালিয়ে যায়, অবহেলাকারীদের থেকে কোরআন তার চেয়েও দ্রুত হারিয়ে যায়।’ (মেশকাত-২১৮৭)।

রাসূল (সা.) মানুষের মন পরিবর্তনের যে ব্যবস্থার কথা বলেছেন, এ ব্যাপারে যত্মবান মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ইতিহাস সাক্ষী কোনো বেদ্বীন যখন কোরআন গবেষণায় লেগেছে, অল্প দিনের ব্যবধানে সে কোরআনের ছায়ায় এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। তাহলে যারা ঈমানের নূরে আলোকিত, তাদের জীবন আরো দ্রুত পরিবর্তন হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই সবাইকে কোরআনের ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আমরা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন করতে পারি। এবং কঠিন কিয়ামতের দিন এই কোরআন আমাদের জন্য সুপারিশকারী হবে।

আরো পড়ুন >>> কোরআন শিক্ষার আসর, প্রতিদিন ৫ আয়াত পর্ব-২৭ (সূরা আল বাকারার ১৪১-১৪৫ নম্বর আয়াত)

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।’ (সুনান আত-তিরমিযী: ২৯১০)।

অতএব, আপনি কি নিজেকে বদলাতে চান? জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে চান? আপনি কি মরেও অমর হয়ে থাকতে চান? সর্বোপরি দুনিয়া ও আখিরাতে আপনি যদি সফল হতে চান; তাহলে আজ থেকেই যুক্ত হোন আমাদের পবিত্র কোরআন শিক্ষার এই আসরে।

পবিত্র কোরআন শিক্ষার আসরের ধারাবাহিক আলোচনায় আজ থাকছে সূরা আল বাকারার ১৪৬-১৫০ নম্বর পর্যন্ত আয়াত।

সূরা আল বাকারা (আরবি ভাষায়: سورة البقرة)। এটি পবিত্র কোরআনুল কারিমের দ্বিতীয় সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ২৮৬টি এবং রূকুর সংখ্যা ৪০টি। আল বাকারা সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
অর্থ: শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

(১৪৬)
الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَعْرِفُونَهُ كَمَا يَعْرِفُونَ أَبْنَاءهُمْ وَإِنَّ فَرِيقاً مِّنْهُمْ لَيَكْتُمُونَ الْحَقَّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ
অর্থ: আমি যাদেরকে কিতাব দান করেছি, তারা তাকে চেনে, যেমন করে চেনে নিজেদের পুত্রদেরকে। আর নিশ্চয়ই তাদের একটি সম্প্রদায় জেনে শুনে সত্যকে গোপন করে।

(১৪৭)
الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلاَ تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ
অর্থ: বাস্তব সত্য সেটাই যা তোমার পালনকর্তা বলেন। কাজেই তুমি সন্দিহান হয়ো না।

(১৪৮)
وَلِكُلٍّ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا فَاسْتَبِقُواْ الْخَيْرَاتِ أَيْنَ مَا تَكُونُواْ يَأْتِ بِكُمُ اللّهُ جَمِيعًا إِنَّ اللّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থ: আর সবার জন্যই রয়েছে কেবলা একেক দিকে, যে দিকে সে মুখ করে (এবাদত করবে)। কাজেই সৎকাজে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগিয়ে যাও। যেখানেই তোমরা থাকবে, আল্লাহ অবশ্যই তোমাদেরকে সমবেত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।

(১৪৯)
وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِنَّهُ لَلْحَقُّ مِن رَّبِّكَ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
অর্থ: আর যে স্থান থেকে তুমি বের হও, নিজের মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফেরাও-নিঃসন্দেহে এটাই হলো তোমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে নির্ধারিত বাস্তব সত্য। বস্তুত: তোমার পালনকর্তা তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অনবহিত নন।

(১৫০)
وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّواْ وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ لِئَلاَّ يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَيْكُمْ حُجَّةٌ إِلاَّ الَّذِينَ ظَلَمُواْ مِنْهُمْ فَلاَ تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِي وَلأُتِمَّ نِعْمَتِي عَلَيْكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
অর্থ: আর তোমরা যেখান থেকেই বেরিয়ে আস এবং যেখানেই অবস্থান কর, সেদিকেই মুখ ফেরাও, যাতে করে মানুষের জন্য তোমাদের সঙ্গে ঝগড়া করার অবকাশ না থাকে। অবশ্য যারা অবিবেচক, তাদের কথা আলাদা। কাজেই তাদের আপত্তিতে ভীত হয়ো না। আমাকেই ভয় কর। যাতে আমি তোমাদের জন্যে আমার অনুগ্রহ সমূহ পূর্ণ করে দেই এবং তাতে যেন তোমরা সরলপথ প্রাপ্ত হও।

দোয়া: হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার সন্তুষ্টি অর্জন করতে, তোমাকে ভালভাবে জানতে, সঠিক পথের দিশা পেতে এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে নিয়মিত পবিত্র কোরানের ০৫টি আয়াত অর্থসহ পড়ছি। তুমি আমাদের এ আমলটিকে কবুল করে নাও। এবং শয়তানের শয়তানি ও বদনজর থেকে হেফাজত রাখো। আমিন।