সূরা আর-রুম; আয়াত ১-৮
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

কুরআনের আলো অনুষ্ঠানের এই পর্বে সূরা আর- রুমের ১ থেকে ৮ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরার ১ থেকে ৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:
الم (1) غُلِبَتِ الرُّومُ (2) فِي أَدْنَى الْأَرْضِ وَهُمْ مِنْ بَعْدِ غَلَبِهِمْ سَيَغْلِبُونَ (3) فِي بِضْعِ سِنِينَ لِلَّهِ الْأَمْرُ مِنْ قَبْلُ وَمِنْ بَعْدُ وَيَوْمَئِذٍ يَفْرَحُ الْمُؤْمِنُونَ (4) بِنَصْرِ اللَّهِ يَنْصُرُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ (5)
“আলিফ, লাম, মীম।” (৩০:১)
“রোমকগণ (ইরানিদের কাছে) পরাজিত হয়েছে।” (৩০:২)
“(আরবের) নিকটবর্তী অঞ্চলে; কিন্তু ওরা ওদের এই পরাজয়ের পর শিগগিরই বিজয়ী হবে।” (৩০:৩)
“(আগামী) কয়েক বছরের মধ্যেই। পূর্ব ও পরের সব সিদ্ধান্ত আল্লাহরই। সেদিন মুমিনরা আনন্দিত হবে।” (৩০:৪)
“আল্লাহর সাহায্যে; তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি মহাপরাক্রান্ত, দয়াময়।” (৩০:৫)
ইতিহাসে এসেছে, রোম ও পারস্য সাম্রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে যুদ্ধবিগ্রহ লেগে ছিল। বিশ্বনবী (সা.) যখন মক্কায় বসবাস করছিলেন তখন আরব ভূখণ্ডের কাছে এক যুদ্ধে ইরানি বাহিনীর কাছে রোমের বাহিনী পরাজিত হয়। মহান আল্লাহ বিশ্বনবীকে জানিয়ে দেন, অচিরেই পরবর্তী যুদ্ধে রোমের বাহিনী জয়লাভ করবে। এই ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবায়িত হওয়ার পর মক্কার নওমুসলিমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হন যে, মক্কার মুশরিকদের বিরুদ্ধেও তাদের জয়লাভের ব্যাপারে আল্লাহর আশ্বাস বাস্তবায়িত হবে। কারণ, বিশ্বজগতের সবকিছু মহান আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন, সম্মান দান করেন এবং নিজের রহমতের বারিধারায় অবগাহন করান।
এই পাঁচ আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো:
১. পবিত্র কুরআনে বর্ণিত অদৃশ্যের খবর এবং ভবিষ্যদ্বাণী এই মহাগ্রন্থের অন্যতম অলৌকিক নিদর্শন হিসেবে পরিগণিত হয়।
২. যেকোনো পরাজয়ে ভেঙে পড়লে চলবে না। সব সময় মহান আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার আশা রাখতে হবে।
৩. মহান আল্লাহ নিজের প্রজ্ঞা দিয়ে সব কাজ করেন। ঈমানদার ব্যক্তিদের জয় এবং পরাজয় দু’টিই আল্লাহর প্রজ্ঞাপূর্ণ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়। অবশ্য মুমিন ব্যক্তিদেরকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু এই চেষ্টা-প্রচেষ্টার ফলাফল তাদের হাতে নেই বরং তা নিয়ন্ত্রণ করেন মহান আল্লাহ।
সূরা রুমের ৬ ও ৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:
وَعْدَ اللَّهِ لَا يُخْلِفُ اللَّهُ وَعْدَهُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ (6) يَعْلَمُونَ ظَاهِرًا مِنَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ عَنِ الْآَخِرَةِ هُمْ غَافِلُونَ (7)
“এটি আল্লাহরই অঙ্গীকার; আল্লাহ স্বীয় অঙ্গীকারের অন্যথা করেন না। কিন্তু অধিকাংশ লোকই তা জানে না।” (৩০:৬)
” তারা পার্থিব জীবনের বাহ্যিক দিক (অর্থাৎ যা কেবল চোখে দেখা যায় সে) সম্পর্কে অবগত, ওরা পরকালের (জীবন) সম্পর্কে অমনোযোগী।” (৩০:৭)
আগের কয়েকটি আয়াতে মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুমিনদের বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মহান আল্লাহ। আর এই দুই আয়াতে বলা হচ্ছে: আল্লাহর প্রতিশ্রুতিতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করো না কারণ, তাঁর প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত সত্য এবং এর বাস্তবায়নে কোনোরকম হেরফের হবে না।
অবশ্য আল্লাহ তায়ালার প্রতি যাদের বিশ্বাস নেই কিংবা যাদের বিশ্বাস দুর্বল তারা সৃষ্টিকর্তার প্রতিশ্রুতির ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে পারে না। কারণ, আল্লাহর প্রজ্ঞা, ক্ষমতা ও কৌশল সম্পর্কে তারা অজ্ঞ। তারা শুধু বাহ্যিক ঘটনাগুলো অবলোকন করে এর ভিত্তিতে জয়-পরাজয় সম্পর্কে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে। পরকালীন জীবন সম্পর্কে তারা অজ্ঞ বলে সবকিছুকে পার্থব জীবনের সীমাবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে চায়। এর ফলে সৃষ্টিজগতের রহস্য উপলব্ধি করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না।
এই দুই আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো:
১. মানুষ অনেক সময় নানা কারণে নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারে না। কিন্তু কোনো সীমাবদ্ধতার গণ্ডি না থাকায় মহান আল্লাহর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবেই এবং তা অবধারিত।
২. পার্থিব দুনিয়ার চাকচিক্যের প্রতি অনুরাগ মানুষকে ক্ষীণদৃষ্টিসম্পন্ন করে ফেলে। এ কারণে পরকাল সম্পর্কে জানা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না।
সূরা রুমের ৮ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:
أَوَلَمْ يَتَفَكَّرُوا فِي أَنْفُسِهِمْ مَا خَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا إِلَّا بِالْحَقِّ وَأَجَلٍ مُسَمًّى وَإِنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ بِلِقَاءِ رَبِّهِمْ لَكَافِرُونَ (8)
“ওরা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে না যে, আল্লাহ যথাযথভাবে এক নির্দিষ্টকালের জন্য আসমান, জমিন এবং ওদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন? এবং নিঃসন্দেহে মানুষের মধ্যে অনেকেই তাদের প্রতিপালকের (সঙ্গে) সাক্ষাতে অবিশ্বাসী।” (৩০:৮)
পবিত্র কুরআনের আরো অনেক আয়াতের মতো এই আয়াতেও মানুষকে সৃষ্টিজগত সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। মহান আল্লাহ মানুষকে তার বিচারবুদ্ধি ও বিবেকের কাছে প্রশ্ন করতে বলছেন: এই আসমান ও জমিন কে সৃষ্টি করেছেন? যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি কি কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই এগুলো বানিয়েছেন? এই বিশ্বজগতের কি কোনো শুরু এবং শেষ নেই? জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যখন অনর্থক কোনো কাজ করে না তখন এই বিশাল সৃষ্টিজগত কি কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া সৃষ্টি করা সম্ভব? এটা কি বিশ্বাস করা যায় যে, এই পৃথিবীতে আমরা যেসব কাজ করি সেজন্য কোনোদিন সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহীতা করা লাগবে না?
অবশ্য যারা প্রবৃত্তি পূজারি এসব প্রশ্ন তাদের অন্তরে কোনো দাগ কাটে না। তারা ইন্দ্রিয় সুখ লাভ করার জন্য এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে রাজি নয়। যেকোনো মূল্যে ভোগবিলাসে মত্ত থাকাই তাদের কাজ। কিন্তু জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরা মনে করেন, এই সৃষ্টিজগত একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে এবং আমাদেরকে একদিন কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে।
এই আয়াতের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো হচ্ছে:
১. ইসলাম মানুষকে সৃষ্টিজগত সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার আহ্বান জানিয়েছে যাতে সে প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করে মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে।
২. এই বিশ্বজগত নির্ধারিত সময়ের জন্য এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৩. কেয়ামত অস্বীকারকারীদের কোনো যুক্তি নেই। পার্থিব দুনিয়ার প্রতি লোভলালসা তাদেরকে পরকাল সম্পর্কে অন্ধ ও অজ্ঞ করে দেয়।
- বান্দরবানে কেএনএফ ক্যাম্পে অভিযানের সময় সেনাসদস্য নিহত
- মানিকগঞ্জ জেলা আ. লীগ কার্যালয়ে ‘স্মার্ট কর্নার’ উদ্বোধন
- মানিকগঞ্জে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত
- মানিকগঞ্জে হাসপাতাল বন্ধ, পরিচালকের ৪ মাসের জেল
- সংকট উত্তরণের বাজেট
- বিমানে মন্ত্রী-সচিবদের প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত
- পিপিপি’র পাইপলাইনে নতুন ১৩ মেগা প্রকল্প
- জাবিতে বৃক্ষনিধন ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
- সাভারে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ১
- রেকর্ড সংখ্যক সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ
- সরকারের পদক্ষেপে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ সম্ভব হয়েছে
- বাংলাদেশে সুইডেনের আরও বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- মানিকগঞ্জে প্রাইভেটকার চাপায় নিহত ১
- ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকছে না
- ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের নামে দুদকের মামলা
- জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো দেশের প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
- অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুইডেনের বৃহত্তর বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- আনসার-ভিডিপি সদস্যদের পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ
- নতুন বাজেট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার
- মানিকগঞ্জে তিন গাঁজা ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড
- দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনী
- তামাক এক প্রকার বিষ যা মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে
- ৬০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করা হচ্ছে
- সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু
- আশুলিয়ার কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় গার্মেন্টস শ্রমিক আহত
- সিংগাইরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, হাসপাতাল ভাংচুর
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিচর্যাকারীদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প
- সাংবাদিক শাকিলকে হত্যাচেষ্টা: তিন ভাইয়ের কারাদণ্ড
- ডিএনসিসির ৫৪ ওয়ার্ডে হবে চিকিৎসাকেন্দ্র
- রাজধানীতে লাজ ফার্মাকে জরিমানা
- নায়ক ফারুক আর নেই
- চারটি রাজধনেশ পাখি উদ্ধার, দুজনের ৬ মাসের কারাদণ্ড
- ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি-ধর্ষণ মামলা
- অশান্তি-সংঘাত চাই না সবার উন্নতি চাই
- রেকর্ড সংখ্যক সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ
- দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
- আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে নেই চিরচেনা জটলা, জনমনে স্বস্তি
- বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের বঙ্গভবনে সংবর্ধনা দেবেন রাষ্ট্রপতি
- মানিকগঞ্জে যুবলীগের পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ শুরু
- সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবিকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- মানিকগঞ্জে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প
- মানিকগঞ্জে হেরোইন ও মদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার
- জাবির নতুন হলের ক্যান্টিনে ‘গলাকাটা’ দাম, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
- মানিকগঞ্জে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় কথিত কবিরাজের ৫ বছর কারাদণ্ড
- সরকারি চাকরিতে ৩০’র চেয়ে ২৫ বছর বয়সীরা ভালো রেজাল্ট করে
- নভেম্বর থেকে ৯ সেতু ও ২ সড়কে স্বয়ংক্রিয় টোল বাধ্যতামূলক
- সাভারে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল পোশাকশ্রমিকের
- সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চেম্বারে রোগী কম
- ‘বাঙালির গর্বের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে’
- প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য