• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

কেলেঙ্কারির পরও বেড়েছে ফেসবুক ব্যবহারকারী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯  

ক্ষতিকর কন্টেন্ট ছড়ানোয় ভূমিকা রাখা এবং তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা না করা সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও গতবছর ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর মাসে অন্তত একবার লগ ইন করা মানুষের সংখ্যা ৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয় এই সংস্থাটি।

নানা কেলেঙ্কারি ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকে বিজ্ঞাপনদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন- এমন আশঙ্কা অমূলক প্রমাণিত হয়েছে। ফেসবুক বর্জন করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সংস্থা নানা প্রচারণা চালালেও উল্টো বেড়েছে ফেসবুকের আয়। গত বছরটিতে ফেসবুকের বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ‘বৃহৎ সামাজিক বিষয়গুলোতে জোর দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মৌলিক ধারায় পরিবর্তন এনেছে।’

গত জুলাইয়ের পর থেকেই ফেসবুকের শেয়ারের মূল্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়। সেসময়ই প্রতিষ্ঠানটির আয়ের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, তখন আগের দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল ফেসবুকের।

তবে শেষ পর্যন্ত তারা ৯ শতাংশ বেশি আয় করেছে এমন একটা বছরে, যখন ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি ফাঁসের পর তাদের ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল।

ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে না জানিয়েই লাখ লাখ গ্রাহকের তথ্য নিজেদের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করেছিল রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। এই তথ্য ফাঁস হলে আলোড়ন শুরু হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছিলেন তারা ‘ভুল করেছেন’। ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফেসবুক প্রধান।

কিন্তু গ্রাহকের অজ্ঞাতে বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশে তাদের তথ্য ব্যাবহার করার এই খবর রটে গেলে, ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে ব্রিটিশ সংসদে তলব করা হয়।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এ বিষয়ে তাদের ‘ভুল হয়েছিল’ স্বীকার করেন এবং গ্রাহকদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে যাবার এই ঘটনাটিকে ‘গ্রাহকদের সাথে বিশ্বাসভঙ্গ’ করার সামিল বলে ফেসবুকে দেয়া বিবৃতিতে মন্তব্য করেছিলেন সেসময় ।

তারপরও ২০১৮ সালে ফেসবুকের মোট মুনাফা ছিল ২২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৭ সালের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি।

ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেয়েছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনে; তবে যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডায় ব্যবহারকারী সংখ্যা অপরিবর্তীত ছিল।