• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮  

ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মোট জনসংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে।

রোববার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের সেরা ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া সারাদেশে শেখ রাসেল ল্যাব কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক হাজার ৩০০ ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প শিক্ষিত বেকারদের জন্য বেকারত্ব দূরীকরণে অনন্য ভূমিকা রাখছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যপুস্তকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়টি বাধ্যতামূলক করাতে প্রযুক্তিগতভাবে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশের বয়স ৪০ বছরের নিচে। এ জনসংখ্যাকে প্রযুক্তির সঙ্গে খাপখাইয়ে মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে বিশ্বে টিকে থাকতে বর্তমান সরকার ‘রূপরেখা-২১’ হাতে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নয়নে ২০১৯ সালের মধ্যে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নকে ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ডের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।

তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম খাইরুল আলম প্রমুখ।

লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার প্রশিক্ষণার্থী এখন স্বাবলম্বী। প্রতি সেশনে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।

শেয়ার করুন: