• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সাকিবের কথা মেনেই ইতিহাস নাঈমের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৮  

জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর ইনজুরির কারণে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে পারেননি বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইনজুরি কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ফিরেছেন সাকিব। তার ফেরার ম্যাচে অভিষেক হয়েছে চট্টগ্রামের তরুণ অফস্পিনার নাঈম হাসানের।

অভিষেকেই নাঈম পেয়েছেন সাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধে বোলিং করার সুযোগ। সুযোগটি দারুণভাবে কাজেও লাগিয়েছেন তিনি। সাকিব নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানার পরে ক্যারিবিয়ান ইনিংসে মড়ক লাগানোর কাজটা করেছেন নাঈমই। গড়েছেন সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট নেয়ার বিশ্বরেকর্ড।

মাত্র ১৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার চাপ সামলে বিশ্বরেকর্ড করাটা চাট্টিখানি কথা নয়। তবে নাঈম জানিয়েছেন সতীর্থ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কথা মেনে বোলিং করেই মিলেছে সাফল্য। পুরো ইনিংস জুড়েই সাকিব তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে জানান চট্টগ্রামের এ তরুণ।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলেন নাঈম বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে খেলতে ভালো লেগেছে। উনি অনেক সাহায্য করেন। আমাকে যেভাবে বোলিং করতে বলেছেন আমি সেভাবেই বোলিং করেছি। এই তো।’

মাঠে থাকতে রেকর্ডের কথা জানতেন না নাঈম। জানেননি ড্রেসিংরুমে ফিরেও। তবে রেকর্ডের কথা জানার পরেও তেমন কোনো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি তিনি। নিজের প্রসেস ঠিক রেখে বোলিং করাতেই সাফল্য এসেছে বলে মনে করেন নাঈম।

তিনি বলেন, ‘(রেকর্ডের কথা) এখানে আসার পথে শুনেছি। আমি তো স্বাভাবিক ক্রিকেটই খেলেছি। আমার কোন লক্ষ্য ছিল না যে ৫ উইকেট বা ১০ উইকেট নিতে হবে। আমি চেষ্টা করেছি প্রসেসটা ঠিক রাখতে।’

অভিষেক ম্যাচের চাপটাও তেমন অনুভব করেননি বলে জানান নাঈম। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার অফস্পিনার নাথান লায়নকেই অনুসরণ করেন তিনি, ‘অভিষেক ম্যাচ বলে তেমন কোন চাপ ছিল না। স্বাভাবিকভাবে যেই ক্রিকেট খেলে এসেছি সেই ক্রিকেটই খেলেছি। সিনিয়র প্লেয়াররা সবাই খুব হেল্পফুল। আর আইডল হিসেবে (নাথান) লায়নকে অনুসরণ করি।’