• রোববার ০১ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৬ ১৪৩০

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

মুশফিকের কিপিং নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা ঝড়

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০১৯  

বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে গেছে বাংলাদেশ দল। মুশফিকের একটি ভুলের কারণে ১০৫ রানের বড় জুটি গড়েন রস টেইলর ও উইলিয়ামসন। আর এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ টাইগারদের।

ব্যক্তিগত ৮ রানেই সাজঘরে ফেরার কথা ছিল কেন উইলিয়ামসনের। দারুণ থ্রো করেছিলেন তামিম ইকবাল। বল ধরে উইকেট ভাঙতে গেলেন মুশফিক। কিন্তু বল ধরার আগেই কনুই দিয়ে উইকেট ভেঙে ফেলেন তিনি। অথচ ছেড়ে দিলেও সরাসরি উইকেট ভাঙত। আর তাতেই লাইফ পান কিউই অধিনায়ক। ১১.২ ওভার দলীয় ৬১ রানে উইলিয়ামসন আউট হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো।

মুশফিকের এমন স্ট্যাম্পিং মিস নিয়েই সমালোচনার ঝড় ওঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

জাহিদ রাজ্ রনি নামে একজন ফেসবুকে লিখেন, ‘মুশফিক ত্যাড়ামি কইরা কিপিং করে, এটা নতুন কিছু না। সে দারুণ ব্যাটসম্যান এবং জঘন্য কিপার এটাও পুরাতন কথা। দলে ২টা উইকেটকিপার আছে। মিঠুন ম্যাচে খেলতেছে, সবদিক থেকেই সে মুশফিকের চেয়ে ভালো কিপার। তারচেয়েও ভালো কিপার লিটন দাস। যেহেতু লিটন খেলছে না তাই তাকে হিসেবের বাইরে রাখলাম।

প্রায় প্রত্যেক ম্যাচে মুশফিক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ক্যাচ ফালায় না হলে স্ট্যাম্পিং মিস করে। এটা একদম ফরজ হয়ে গেছে। কিন্তু তবুও সে কিপিং ছাড়বে না। তাকে কিপিং ছাড়ার কথা বললে সে গোসসা করে। তার এই গোসসা'র মূল্য দিতে গিয়া ইতিমধ্যে কতো ম্যাচ হারছি তার কোন ইয়ত্তা নাই, আগামীর কথা বাদ দিলাম।

এভাবে আসলে ইগো নিয়া ম্যাচ উইন করা যায় না। সিনিয়রদের টিম প্লেয়ার হওয়া খুব জরুরী।

তানভির নামে একজন লেখেন, পুরো ক্রেডিট অবশ্যই তামিম ইকবালের। ব্যক্তি জীবনের মতো ক্রিকেট মাঠেও যে দারুণ স্মার্ট। সেটার পরিচয় দিয়ে স্ট্রাইকিং এন্ডেই অসাধারণ থ্রো করেছিলেন তামিম। যা বেশীরভাগ ফিল্ডারই করবে না। অথচ কি দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হলো মুশফিকের নির্বুদ্ধিতায়। বলটা ছেড়ে দিলেও স্ট্যাম্পেই লাগতো।

বল থ্রো করলে রিসিভিং এন্ডে যিনি থাকেন, তাকে সবসময় স্ট্যাম্পের পেছনেই থাকতে হয়। স্কুল পর্যায়ের বেসিক ক্রিকেটের এই জায়গাটায় গেল দশ বছরে কমপক্ষে ১০০ বার ভুল করেছেন মুশফিকুর রহিম।ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হতে পারতো ওই রান আউট।

যদিও মুশফিককে এই ব্যাপারে কিছু বললে তিনি তার চিরাচরিত স্বভাবে “গোসসা” করবেন এবং সমালোচনা নিতেই পারবেন না, কখনোই পারেননি। মুশফিকের হতচ্ছাড়া কিপিং দেখতে দেখতে সিরিয়াসলি এখন ক্লান্ত লাগে। যদিও আক্ষেপ বাড়ে না; কারণ উইকেট কিপার মুশফিকের কাছ থেকে এরচেয়ে বেশি আশা করা ঠিক না।

দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হলেও, উইকেট কিপিংয়ে তার লেভেল ওটুকুই। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলেও মুশফিকের এই ভুল মানা সম্ভব না।