• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মেসিকে চান রোনালদো

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে ‘চ্যালেঞ্জ গ্রহণ’ করে ইতালিতে চলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নয়টি দারুণ বছর কাটিয়ে গেল জুলাইয়ে জুভেন্তাসে পাড়ি জমান সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ইতালীয় চ্যাম্পিয়নদের হয়েও ছুটে চলেছেন দুর্বার বেগে। ১৫ ম্যাচ থেকে দশ গোল করে দলকে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে দারুণ সহায়তা করেছেন। যার ফলে টানা অষ্টম শিরোপার কক্ষপথেই আছে তার দল।

এর আগে স্পোর্টিং লিসবন এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়েও খেলেছেন পর্তুগিজ তারকা। তবে মেসির ক্যারিয়ারের পুরোটা সময়ই কেটেছে বার্সেলোনায়। লা লিগা শিরোপাধারীদের সঙ্গে ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধও রয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। চুক্তিটি শেষ হওয়ার সময়ে ৩৪ বছরে পা দেবেন মেসি। রোনালদোর পরামর্শ, বুটজোড়া তুলে রাখার আগে বার্সেলোনার বাইরের জীবনের স্বাদও নেয়া উচিত বার্সেলোনা অধিনায়কের। সমপ্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমন অভিমতই দিয়েছেন জুভেন্তাস তারকা।

রোনালদোকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ইতালিতে মেসির শূন্যতা অনুভব করেন কি না। রোনালদোর জবাব, ‘না, সম্ভবত সে আমার শূন্যতা অনুভব করে। আমি ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি এবং পর্তুগালে খেলেছি, জাতীয় দলে খেলেছি; যেখানে সে এখনো স্পেনেই আছে। সম্ভবত তার আমাকে আরও বেশি প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে জীবন একটা চ্যালেঞ্জ। এটা পছন্দ করি আমি এবং আমি মানুষকে খুশি রাখতে পছন্দ করি।’

বার্সা ছেড়ে মেসিকে ইতালির কোনো দলে যোগ দেয়ার পরামর্শও দেন রোনালদো। জুভেন্তাস তারকার ভাষায়, ‘কোনো এক দিন আমি তাকে ইতালিতে দেখতে চাই। সে আমার মতো সেও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক, এটা চাই।’

তবে আর্জেন্টাইন তারকা যদি বার্সেলোনাতেই ক্যারিয়ার শেষ করতে চান তাহলেও তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন রোনালদো। তিনি বলেন, ‘যাই হোক, সে যদি সেখানেই খুশি থাকে তাহলে তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই আমি। সে একজন দারুণ খেলোয়াড়, একজন ভালো মানুষ। তবে এখানে কোনো কিছুরই শূন্যতাবোধ আমাকে পেয়ে বসেনি। এটা আমার নতুন জীবন এবং আমি এখানে সুখীই আছি।’

রোনালদো এবং মেসি দুজনেই সমান পাঁচটি করে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ এই পুরস্কারটি জিতলে ছেদ পড়ে তাদের দশ বছর দীর্ঘ দ্বৈত শাসনে।