• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অক্টোবরে দেশের আকাশে দেখা মিলবে দুই পূর্ণিমা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

একই মাসে দু’বার পূর্ণিমা। প্রথমটি ১ অক্টোবর, এরপর একই মাসের ৩১ তারিখে। যখন এক মাসে দুইবার পূর্ণিমা দেখা যায় তখন তাকে ‘ব্লু মুন’ বলা হয়। 

শুধু বাংলাদেশই নয়, এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে চলছে পুরো বিশ্ব। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, চলতি বছরের অক্টোবরে ব্লু-মুনের দেখা মিলবে। তবে চাঁদের রং কিন্তু কখনোই নীল হয় না। তাই যেসব ছবিতে নীল রঙা চাঁদ দেখা যায়, সেগুলো আসলে বিশেষ ব্ল‌ু-ফিল্টার লাগানো ক্যামেরা দিয়ে তোলা। তবে চাঁদের নীলচে হয়ে যাওয়ার কথাও শোনা যায়। ১৮৮৩ সালে ইন্দোনেশিয়া এবং ১৯৫০-৫১ সালে সুইডেন ও কানাডায় ‘নীল’ চাঁদের দেখা মিলেছিল।

কেন এক মাসে দু’বার পূর্ণিমা? বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতি ৩৬৫ দিন বা ১২ মাসে (বিজ্ঞানের ভাষায় একটি সৌর বছর) ১২টি পূর্ণিমা হয়। সাধারণত একটি পূর্ণিমা থেকে অন্য পূর্ণিমার ফারাক হয় গড়ে সাড়ে ২৯ দিন। এভাবে হিসাব করলে ১২টি পূর্ণিমা হতে সময় লাগে ৩৫৪ দিন (বিজ্ঞানের ভাষায় একটি চন্দ্র বছর)।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, এর ফলে সৌর বছর (সাধারণ ক্যালেন্ডারে এটাই অনুসরণ করা হয়) থেকে চন্দ্র বছরের ১১ দিন ফারাক হয়। সেই হিসাবের ফারাকের ফলেই প্রতি তিন বছর অন্তর এক মাসে দুটি পূর্ণিমা দেখা যায়। এভাবে প্রতি ১৯ বছরে গড়ে ৭ বার ‘ব্লু মুনের’ দেখা মিলতে পারে।

এক বছরে দুটি ‘ব্লু মুনের’ নজিরও রয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি এবং মার্চ মাসে দুটি করে পূর্ণিমা ছিল। তবে সেবার ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো পূর্ণিমাই ছিল না। 

ইতিহাস বলছে, ‘ব্লু মুনের’ ধারণাটি এসেছে কৃষকদের পঞ্জিকা থেকে। সে সময় চাষের কাজ হতো চন্দ্র মাস অনুযায়ী। প্রতি ঋতুতে (তিন মাসে) তিনটি পূর্ণিমার নামকরণও করা হতো। যেমন- গ্রীষ্মের প্রথম পূর্ণিমা, দ্বিতীয় পূর্ণিমা ইত্যাদি।

কোনো ঋতুতে চারটি পূর্ণিমা পড়ে গেলে নামকরণের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত পূর্ণিমাটিকে ‘ব্লু মুন’ বলা হতো। এখন সেটাই সামান্য বদলে গিয়ে, কোনো মাসে দুটি পূর্ণিমা পড়ে গেলে দ্বিতীয়টিকে ‘ব্লু মুন’ বলা হয়। ‘ব্লু মুন’ মোটেই নীল নয়। সম্পূর্ণ প্রচলিত শব্দ।