• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

অনুক্ষণ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯  

বিকেলে ছাদের এক কোনায়। চুল গুলো ছেড়ে দিয়ে বসে আঁচার খাওয়ার দৃশ্যটা সত্যিই অপূর্ব। তোমাদের ছাদ থেকে আমাদের ছাদে আঁড় চোখে তাকানোটা মহল্লার মানুষ ভালো চোখে দেখতো না। তুমি কলেজের ব্যাগ কাঁদের একপাশে ফেলে দিয়ে দ্রুত গতিতে হেঁটে চলে যেতে। আমি গাছের আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম। আমি রাস্তায় দাড়িয়ে দেখতাম তুমি ক্লাস করছো। আমার চোখের দিকে চোখ পড়তেই তুমি মাথা নিচু করে ফেলতে। তুমি চলে যেতে আমার সামনে দিয়ে মৃদু হেসে, কিছুদূর গিয়ে জানতে চাইতে….

-ইমতিয়াজ, তুমি কিছু বলতে চাও আমাকে।

আমি বোকার মত মাথা নাড়াতাম।

-না। কিছু বলবো না।

তুমি চুপ করে হেটে চলে যেতে। বিকেলে ছাদের উপর আমার দিকে তোমার কিছু জানতে চাওয়ার দৃষ্টিটা আমি এড়িয়ে যেতাম। তোমার উড়না বাতাসে দুলতো। আমি আঁড় চোখে তাকিয়ে থাকতাম। ঝড়ো বাতাসে তোমার উড়নাটা উড়ে যেত, তুমি বলতে…….

-ইমতিয়াজ, উড়নাটা একটু এনে দিবে।

আমি উড়নাটা নিয়ে আসতাম, তুমি বলতে…..

-উড়নাটা গলায় পেছিয়ে দাও।

আমি তখনোও শরীরের শিহরন বলে কিছু আছে তা জানতাম না। তোমার শরীরের মিষ্টি একটা গন্ধ আমার নাকে আসতো।মনে হতো তুমি আস্ত একটা পারফিউম। আবার সেই কিছু জানতে চাওয়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে। আমি মাথা নুড়ে চলে যেতাম। হঠাৎ তোমার বাড়ির সামনে বিয়ের গেইট দেখে অবাক হলাম। তোমার বিয়ে। বিয়েতে সবচেয়ে বড় অতিথি আমি। তোমার বাবা জানতে চাইতো……

-ইমতিয়াজ, ডেকোরেশন ঠিক আছেতো।

-হুম, চাচা ঠিক আছে।

তুমি তোমার হবু বরের পাশে বসে আছো আর আমার দিকে তাকিয়ে আছো অনেক কিছু জানতে চাওয়ার দৃষ্টিতে। আমি সত্যিই বোকা। আমি সেদিনও বুঝতে পারিনি, তোমার এই দৃষ্টিটার মানে আমি তোমায় সত্যিই “ভালোবাসি” কিনা জানতে চাওয়ার দৃষ্টি। যদি বুঝতে পারতাম, তাহলে আমার দৃষ্টিতে তোমায় বুঝিয়ে দিতাম “আমি তোমায় সত্যিই ভালোবাসি”

লেখক

রাকিব ইমতিয়াজ

রামগন্জ, লক্ষীপুর