• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আনসার আল ইসলাম এর ৪ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২১  

সাভার, ভাষানটেক, তেজগাঁও ও যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর ৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এসময় উগ্রবাদী বই ও জঙ্ িকার্য্যক্রমে ব্যবহৃত কথোপকথনের প্রমাণ উদ্ধার করা হয়। 

সোমবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী ।

এর আগে রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সাভার, ভাষানটেক, তেজগাঁও ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন ধরনের ১১টি উগ্রবাদীবই, ৪টি ট্রাভেল ব্যাগ, জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ও ১২৬টি জঙ্গিবাদী কথোপকথনের প্রমাণাদি জব্দ করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলার মোঃ কলিম উল্ল্যাহ (৩৭), শেরপুর জেলার তাসকিন হাসান আকন্দ ওরফে আনন্দ (১৯), নরসিংদী জেলার মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া ওরফে জহিরুল ইসলাম মাসুদ (২৩) ও চট্টগ্রাম জেলার মোঃ আলী রাসেল (৩৪)। তারা সবাই সক্রিয় জঙ্গি সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার আল-ইসলাম এর ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৪। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাভার, ভাষানটেক, তেজগাঁও ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এদের মধ্যে মো. কলিম উল্ল্যাহ উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে চাকুরী পাশাপাশি অনলাইন/অফলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করেন। সে আনসার আল ইসলাম এর সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি অন্যদের উদ্ধুদ্ধকরণের জন্যে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি, ভিডিও ও লিফলেট প্রচার করে আসছিলেন এবং নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতেন।

মোঃ তাসকিন হাসান আকন্দ ওরফে আনন্দ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতেন। তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ আনসার আল ইসলাম এর সাথে জড়িত থেকে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি প্রচার করে আসছিলেন। 

মো. জাহাঙ্গীর মিয়া অরফে জহিরুল ইসলাম মাসুদ যাত্রাবাড়ীতে একটি মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় উক্ত গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বেশ কিছুদিন যাবত আনসার আল ইসলাম এর সাথে জড়িত থেকে অনলাইনে উগ্রবাদী জিহাদের ভিডিও আপলোড করে সাধারণ জনগণকে উগ্রবাদী মতবাদ সর্ম্পকে উদ্ধুদ্ধকরণের চেষ্টা করে আসছিলো।
মো. আলী রাসেল কারওয়ান বাজারে একটি মাছের আড়তে কাজ করতেন এবং আনসার আল ইসলাম এর সাথে জড়িত থেকে অন্যান্যদের সাথে গোপন বৈঠকের পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহ চেষ্টা করে আসছিলেন। 

র‌্যাব-৪, সহকারী পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য সহোচরদের গ্রেফতারে র‌্যাব এর গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।