• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঐতিহাসিক রায়ে এসআই জাহিদসহ তিনজনের যাবজ্জীবন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

থানায় নিয়ে জনি নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পল্লবী থানার তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমানসহ তিনজনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। বাকি দুইজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যুর ঘটনায় দেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম রায়।

বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন-পল্লবী থানার এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু। সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সোর্স সুমন ও রাশেদ।

রাজধানীর মিরপুরের ইরানী ক্যাম্প এলাকায় ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশের সোর্স সুমনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক জনির। সেই রাতেই তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদসহ কয়েকজন পুলিশ জনিকে থানা হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে নিহত জনির ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি একই বছরের ৭ আগস্ট তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে জনিকে হত্যার অভিযোগ এনে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন নিহতের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি। ওই দিন আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলায় মোট ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।