• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২১  

বহুল প্রতীক্ষিত করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে আজ বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। হাসপাতালটির একজন নার্সকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে।

এদিন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মুখসারির কোভিড যোদ্ধাদের (যেমন- নার্স, চিকিৎসক, সহকারী স্বাস্থ্যকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ ও সেনাসদস্য এবং সাংবাদিক) মধ্যে থেকে ২০ থেকে ২৫ জনকে টিকা দেয়া হবে। আর বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে ঢাকার পাঁচটি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষ জানায়, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ২৮ জানুয়ারি যে পাঁচটি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে সেগুলোও প্রস্তুত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জুলফিকার আহমেদ আমিন বলেন, ২৮ তারিখে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত জনবল প্রস্তুত করা, স্থান নির্ধারণ ও প্রাথমিক তালিকা প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিএসএমএমইউ-এর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সেন্টার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে। এ সেন্টারে মোট আটটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই বুথের প্রত্যেকটিতে দুইজন নার্স ও চারজন করে স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া দু’টি মেডিকেল টিম, যার একটি ভ্রাম্যমাণ থাকবে। ফলে কোথাও কারো কোনো অসুবিধা হলে দ্রুত সেখানে উপস্থিত হতে পারে ভ্রাম্যমাণ টিম। আরেকটি মেডিকেল টিম বুথের পাশেই সার্বক্ষণিক অবস্থান করবে। টিকা নেয়ার পর কোনো ব্যক্তির শারীরিক কোনো অসুবিধা হলে এই টিম তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রস্তত থাকবে। এছাড়াও টিকা পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আট শয্যার একটি পর্যবেক্ষণ ইউনিট ও চারটি ভেন্টিলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। টিকাদান কেন্দ্রে একটি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। কোনো ব্যক্তিকে টিকা দেয়ার পর কমপক্ষে আধঘন্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। পরবর্তীতে কোনো অসুবিধা হলেও টিকাদানকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. আহমেদ আমিন বলেন, ২৮ তারিখে বিএসএমএমইউ-এর নিজস্ব জনবলের মধ্যে থেকে ২০০ জনকে আগ্রহের ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে। পরে পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের সব স্টাফকে টিকার আওতায় আনা হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসিএইচ)-এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ২৮ তারিখে ডিএমসিএইচ-এ প্রথম দিন টিকা দেয়ার জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি নারী স্টাফদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এদিন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, ডেইলি লেবার, ক্লিনারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টাফদের মধ্যে থেকে ১০০ জনকে টিকা দেব। পরে পর্যায়ক্রমে সব স্টাফকে তাদের আগ্রহের ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে।