• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

কর্মসংস্থানের উদ্যোগ দেড় লাখ মানুষের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২০  

দারিদ্র্য নিরসন, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গতি বাড়াতে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিতে সরকার দ্রুত শিল্পায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) দেশে-বিদেশে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।

সূত্র জানায়, সরকারের টেকসই লক্ষ্যমাত্রা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও প্রতিশ্রুতি অনুসারে ‘বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ’ ও রপ্তানির ঊর্ধ্বগতির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে একটি প্রকল্প নিয়েছে সরকার।

প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য- দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীর রপ্তানিভিত্তিক শিল্প স্থাপন। দেড় লাখ বাংলাদেশি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আহরণ এবং রপ্তানি বৃদ্ধি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশি নাগরিকের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ইপিজেড এলাকায় অগ্রজ ও পশ্চাৎপদ শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার প্লাটফর্ম তৈরি হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেড় লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ

(এফডিআই) ও রপ্তানি বাড়বে দেড় বিলিয়ন ডলার এবং প্রতিবছর আয় হবে ১৫৮ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, কর্মসংস্থান বাড়াতে সরকারকে দুটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। প্রথমত বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও দ্বিতীয়ত তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো। যদিও আধুনিক প্রযুক্তির কারণে শিল্পে ব্যবহারের জন্য উন্নত মেশিন আসছে, এ সবের ব্যবহার বাড়লে কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে। তার পরও প্রযুক্তিকে অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। বরং তথ্যপ্রযুক্তিতে তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এক দশক ধরে বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির হয়ে আছে। সরকারকে বিনিয়োগ চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হতে হবে। নতুন নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয় মাথায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে নতুন বিনিয়োগ না এলে কর্মসংস্থান বাড়ানো যাবে না। কারণ সরকারি বিনিয়োগে খুব বেশি কর্মসংস্থান হয় না। সর্বোপরি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।