• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

কাজীর `ভুলে` তুলকালাম

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ঢাকার ধামরাইয়ে এক নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে এক দম্পতির নিকাহনামায় দুই রকম তথ্য লিখে দুটি সত্যায়িত কপি সরবরাহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরের নিকট কাজী প্রেরিত সত্যায়িত প্রতিলিপিতে দেন মোহরের টাকা পরিশোধ লেখা হয়েছে। অন্যদিকে কনের প্রতিলিপিতে দেন মোহরের টাকা পরিশোধ লেখেননি রেজিস্ট্রার।

এদিকে মনোমালিন্য দেখা দিলে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন মিজানুর রহমান। অপরদিকে স্ত্রী দেনমোহর ও যৌতুক আইনে মামলা করেছেন আদালতে। তবে কাবিননামায় সঠিক তথ্য প্রদান না করায় প্রতারণার শিকার হয়েছেন মর্মে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জানান। তিনি এ ঘটনায় নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর থানার বিলকেস্টি গ্রামের রোজিনার আক্তারকে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি বিয়ে করেন ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের মিজানুর রহমান। বিবাহ রেজিস্ট্রি করেন ধামরাই পৌরসভার ৫,৬ ও ৭নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার (কাজী) মাওলানা আলিম উদ্দিন। গত পাঁচমাস আগে বিভিন্ন কারণে মিজানুর রহমান তার স্ত্রী রোজিনা আক্তারকে তালাক দেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজী আলিম উদ্দিনের কাছ থেকে নিকাহনামার সত্যায়িত প্রতিলিপি উত্তোলন করেন রোজিনা আক্তার। এতে এক লাখ টাকা দেন মোহর পরিশোধ হয়েছে লেখা নেই। এরপর রোজিনা বাদী হয়ে মিজানুর রহমানের নামে ১৮ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালত, মানিকগঞ্জে মামলা করেন। এ ছাড়া রোজিনার বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ২০ বছর। 

এর আগে গত ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মিজানুর রহমান নিকাহনামার সত্যায়িত প্রতিলিপি উত্তোলন করেন। সেখানে দেন মোহরের এক লাখ টাকা পুরোটাই পরিশোধ করা হয়েছে মর্মে লেখা আছে এবং রোজিনার আক্তারের বয়স ২২ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। দুজনের সত্যায়িত প্রতিলিপিতে দেন মোহর ও বয়সের গড় মিল লিখে দেওয়ায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন মিজান ও রোজিনা। 

মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, কাজী মাওলানা আলিম উদ্দিন ঘুষের বিনিময়ে দেন মোহরের টাকা পরিষদ নেই মর্মে নিকাহনামার সত্যায়িত প্রতিলিপি দিয়েছেন রোজিনাকে। ফলে রোজিনা মামলা করার সুযোগ পেয়েছে।

এ বিষয়ে কাজী মাওলানা আলিম উদ্দিন বলেন, আমার ভুল হয়েছে।

জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন নাহার বলেন, বিষয়টা অনেক সেনসেটিভ। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।