• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কিডনি বেচে আইফোন কিনে শয্যাশায়ী যুবক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২১  

আইফোন বাজারে আসলে শুরু হয় নানান আলোচনা-সমালোচনা। প্রতিযোগিতা শুরু হয় নতুন ভার্সন কেনার জন্য। এর জন্য কত ঘটনাই না ঘটে। তেমনি এক ঘটনা ঘটে চীনে।

এক চীনা কিশোর আইফোন কেনার জন্য সত্যি সত্যি নিজের কিডনি বেচে দিয়েছিলেন। ওয়াং সাংকুন নামের সে কিশোরের বয়স এখন ২৫ কি ২৬।

ভাইস সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে ওয়াংয়ের বয়স ছিল ১৭। বাড়ি চীনের আনহুই প্রদেশে। একদিন তার কী মনে হলো, প্রায় ৩ হাজার ২৭৩ ডলারের বিনিময়ে ডান পাশের কিডনিটি বিক্রি করে দিলেন। সে টাকা দিয়ে একটি ‘আইপ্যাড ২’ মডেলের ট্যাব এবং একটি ‘আইফোন ৪’ মডেলের স্মার্টফোন কিনেছিলেন তিনি। ওই সময় ওয়াং বলেছিলেন, ‘দুটি কিডনি দিয়ে কী হবে? একটিই যথেষ্ট।’ একটি কিডনি নিয়ে এখন বেশ বিপদেই আছেন ওয়াং সাংকুন।

এক অনলাইন চ্যাটরুমে মানব–অঙ্গ কালোবাজারিদের কাছ থেকে একটি বার্তা পান তিনি। বার্তায় বলা হয়েছিল, তিনি চাইলে শরীরের অঙ্গ বেচে তিন হাজার ডলারেরও বেশি আয় করতে পারেন। সে সময় আইফোন হাতে তোলার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন ওয়াং। অফারটি পছন্দ হয়েছিল তার।

এর দিন কয়েক পর দেশটির হুনান প্রদেশের এক হাসপাতালে ১৭ বছরের ওয়াংয়ের শরীরে অবৈধ অস্ত্রোপচার করা হয়। বের করে নেওয়া হয় ডান কিডনি। ব্যাপারটি অভিভাবকদের না জানিয়েই করেছিলেন ওয়াং।

পরে ওয়াংয়ের হাতে দামি আইফোন দেখে তার মায়ের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসা করার পর তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে অস্ত্রোপচারের কথা। এরপর অবৈধভাবে অঙ্গ বেচাকেনার জন্য গ্রেপ্তার হয় নয়জন, পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ওয়াংয়ের অস্ত্রোপচার করায় কয়েক মাসের মধ্যেই বাঁ কিডনিতে সংক্রমণ দেখা দেয়। অস্ত্রোপচারের পর প্রয়োজনীয় সেবা ও বিশ্রাম না পাওয়াও একটি বড় কারণ। পরে তার অবস্থার এমনই অবনতি হয় যে এখন পুরোপুরি শয্যাশায়ী। নিয়মিত ডায়ালাইসিস ছাড়া জীবন বিপন্ন।