• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কেমন হতে পারত আমাদের পর্যায় সারণি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০১৯  

বিজ্ঞানজগতের মৌলগুলোর পথচলা যেন শুরু হয় পিরিয়ডিক টেবিল বা পর্যায় সারণি থেকে। গবেষণাগার থেকে শুরু করে একজন বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর পড়ার টেবিল—সব স্থানেই দেখা মিলবে এই সারণির। ১৮৬৯ সালের দিকে ৬৩টি মৌল নিয়ে প্রথম পর্যায় সারণি তৈরি করেন দিমিত্রি ম্যান্ডেলিভ। মৌলগুলোর রাসায়নিক ও বাহ্যিক গঠনের ওপর ভিত্তি করে এই সারণিতে সেগুলোর অবস্থান ঠিক করেন তিনি। একটা সাধারণ কার্ড পেপারে কতগুলো সারি ও কলাম মিলিয়ে এই সারণি তৈরি করেন তিনি। যার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে আধুনিক সময়ের পর্যায় সারণি। ম্যান্ডেলিভের বানানো পর্যায় সারণির দেড় শ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৯ সালকে ‘ইন্ট্যারন্যাশনাল ইয়ার অব পিরিয়ডিক টেবিল’ ঘোষণা করে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব পিউর অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড ক্যামিস্ট্রি।

 

তবে ইতিহাসের সেই কালজয়ী পর্যায় সারণি কিন্তু এত সহজে এই আধুনিক সময়ে এসে পৌঁছায়নি। আবার ম্যান্ডেলিভের আগেও যে কেউ পর্যায় সারণি নিয়ে কাজ করেননি, তেমনটা কিন্তু নয়। তার এই সাজানো পর্যায় সারণি মানুষের হাতে উঠে আসার কয়েক দশক আগেই রসায়নবিদ জন ডাল্টন এ চেষ্টা করেন। ডাল্টন অবশ্য মৌলগুলোর নামের পরিবর্তে আলাদা আলাদা চিহ্ন ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। এমনকি এরপরও জন নিউল্যান্ডস নামের আরেক রসায়নবিদ এই পর্যায় সারণি বানানোর চেষ্টা করেন।

তাঁদের সবার পর্যায় সারণি তৈরির ধারণা একই রকম থাকলেও দিমিত্রি ম্যান্ডেলিভ তাঁর পারদর্শিতা দেখিয়েছেন অন্য এক পথে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, আরও মৌল আবিষ্কার করা বাকি। তাই তিনি ডাল্টন বা নিউল্যান্ডসের মতো মাত্র ৬৩টি মৌল নিয়েই চিন্তা করেননি। বরং ওইগুলো বাদে আর কোনো মৌল আবিষ্কৃত হতে পারে, সেটা আন্দাজ করে সেগুলোর জন্য জায়গা ফাঁকা রেখেছিলেন। মজার ব্যাপার হলো, পরবর্তী সময়ে নতুন মৌল আবিষ্কার হলে সেগুলো ম্যান্ডেলিভের নিয়ম মেনেই পর্যায় সারণিতে জায়গা করে নেয়।