• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কোন মসলার কী গুণ?

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

রান্নার অপরিহার্য উপাদান হল মসলা। প্রতিদিনই খাবারে কোনো না কোনো মসলা ব্যবহার করা হয়। তবে জানেন কি, কোনো মসলায়ি কী গুণ রয়েছে? প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন মসলা থেকেই আমাদের শরীর নানাবিধ উপকারিতা পায়। মসলা শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, সুস্থতার জন্যেও জরুরি। 

লবঙ্গ

এতে থাকা একাধিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান দাঁতের যন্ত্রণাসহ যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একইসঙ্গে পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে এবং শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই মসলাটি।

এলাচ

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও দ্রবণীয় আঁশযুক্ত এলাচ রক্তচাপ কমাতে কার্যকর। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব ক্রনিক ডিজিজের সমস্যা কমায়। এছাড়াও হজমজনিত সমস্যা ও মুখের বাজে গন্ধ প্রতিরোধেও এলাচ চমৎকার মসলা। 

আদা

অনেকেই হয়ত জানেন আদার ক্যারিশমা! ঠাণ্ডার সমস্যাসহ নানাবিধ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এই মসলাটি। আদায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন হ্রাসেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি যাদের পরিবারে ডায়বেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের খাদ্যাভ্যাসে আদা থাকলে ডায়বেটিসের সম্ভাবনাকে অনেকটাই দূরে রাখা সম্ভব হবে।

হলুদ

আলঝেইমার এবং ক্যান্সারকে দূরে রাখতে হলুদের কোনো বিকল্প নেই। কারণ এই মসলায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নানাভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষত হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামক উপাদান শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধাদান করে, ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও কমে যায়।

ধনিয়া

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ধনিয়া দারুণ উপকারী। একইসঙ্গে পেটের সমস্যা কমাতেও ধনিয়া অবদান রাখে।

দারুচিনি

দারুচিনি গ্রহণে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে ডায়বেটিসের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। এছাড়া দারুচিনি গুঁড়া গ্রহণে কোমর ও পায়ের মেদ কমে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন লাল চায়ের সঙ্গে আধা চা চামচ পরিমাণ দারুচিনি গুঁড়া গ্রহণ করতে হবে।

রসুন

খাবারকে সুস্বাদু বানানোর পাশপাশি একাধিক রোগ দূরে রাখতে রসুনের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষত হৃদরোগকে দূরে রাখতে রসুন সবচেয়ে উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। অন্যদিকে ঠাণ্ডার সমস্যা কমাতে রসুন অতুলনীয়।

গোলমরিচ

শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি বার্ন করতে এই দারুণ কাজ করে। একাধিক পরীক্ষার ফলাফল জানাচ্ছে, প্রতিটি খাবারে এই মসলাটির ব্যবহার প্রায় ১০০ ক্যালোরি বার্ন করতে কাজ করে।

জিরা

এশরীরে জমে থাকা মেদ ঝড়িয়ে ফলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জিরা। তবে জিরার সবচেয়ে দারুণ সুবিধা হলো, জিরা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।