• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

গরুর দেখাশোনায় ড্রোন!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২০  

আগেকার দিনে বাবা-মা তাদের সন্তানদের বিয়ে দিতে দেখত গোয়ালভরা গরু, পুকুরভরা মাছ আর গোলাভরা ধান আছে কিনা। আর যে বাড়িতে গোয়ালভরা গরু থাকত সে বাড়িতে স্বভাবতই একজন রাখাল থাকত। যার প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে পল্লী কবি জসীমউদ্দিনের রাখাল ছেলে কবিতায়। এখনও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গরু-ছাগল দেখাশোনার জন্য রাখা হয় রাখাল বা কর্মচারী। কিন্তু কেমন হবে যখন গরুর দেখাশোনার জন্য রাখালের প্রয়োজন হবে না। রাখালের কাজ করবে ছোট একটি যন্ত্র।

হ্যাঁ, এমনটাই হয়েছে। সম্প্রতি ইজরায়েলের খামারে শুরু হয়েছে ড্রোনের ব্যবহার। বিফ্রি এগ্রো নামে একটি প্রতিষ্ঠান ড্রোনকেই দায়িত্ব দিয়েছে তাদের গরুর পাল তাড়ানো ও পর্যবেক্ষণের কাজে। যদিও রাখাল ও পোষা কুকুর এতদিন গরুর পাল তাড়ানো ও দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করে আসছিল।

পশুর বড় পাল এবং চারণভূমিতে ড্রোনগুলোকে বেশি কার্যকর দাবি করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও বিফ্রি এগ্রোর প্রধান নির্বাহী নোয়াম আজরান বার্তা সংস্থা রয়টার্সেকে জানিয়েছে, রাখাল ও কুকুরের বদলে ড্রোন ব্যবহারে কম চাপের পরিবেশ তৈরি হয় প্রাণীর জন্য। এতে প্রাণী আরও কার্যক্ষম ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে ওঠে।  

রিমোট নিয়ন্ত্রিত ড্রোন গরুর কাছাকাছি উড়ে দিকনির্দেশনা দেবে এবং খামারির কাছে লাইভ ভিডিও ফুটেজ পাঠাবে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

এরই মধ্যে ইজরায়েলের ড্রোন প্রযুক্তিতে আগ্রহ দেখিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যার প্রেক্ষিতে চলতি মাসেই গালফ অঞ্চলে যাচ্ছেন বিফ্রি এগ্রোর প্রতিনিধিরা। তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন, গরু চরানোয় সফল ইজরায়েলি ড্রোন পদ্ধতি মরু অঞ্চলে উট পর্যবেক্ষণে রাখালের ভূমিকা রাখতে কতটা সফল হবে।