• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রামে ওয়াসার বুস্টার পাম্প স্টেশন চালু

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

চট্টগ্রামে ওয়াসার সাড়ে চার কোটি লিটার পানি ধারণক্ষমতার পতেঙ্গা বুস্টার পাম্প স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম স্টেশনটির উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা আগে দৈনিক ৪০৯ মিলিয়ন লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ৩০০ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহ করত, যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসা চিটাগং ওয়াটার সাপ্লাই ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন মেগা প্রকল্প হাতে নেয়।

১ হাজার ৮৯০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ের এই মেগা প্রকল্পে দৈনিক ৯ কোটি লিটার পানি শোধনের ক্ষমতাসম্পন্ন শেখ রাসেল পানি শোধনাগার, কালুরঘাট বুস্টার স্টেশনকে আধুনিকায়ন, দৈনিক সাড়ে চার কোটি লিটার বুস্টিং ক্ষমতাসম্পন্ন পতেঙ্গা বুস্টার পাম্প স্টেশন নির্মাণ, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৬০ কিলোমিটার সঞ্চালন ও বিতরণ পাইপলাইন স্থাপন, ওয়াসার নতুন ভবন নির্মাণ, চট্টগ্রাম মহানগর ও পার্শ্ববর্তী পৌরসভায় চারটি স্যানিটেশন ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নসহ অনেকগুলো ছোট ছোট প্রকল্প নেয়া হয়।

মন্ত্রী জানান, ২০২০ সালের এপ্রিলে শেখ রাসেল পানি শোধনাগার এবং পতেঙ্গা বুস্টার স্টেশন নির্মাণকাজ শেষ হয়। ২০১৭ সালের জুনে শেষ হয় কালুরঘাট বুস্টার স্টেশন পুনর্বাসনের কাজ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ট্রান্সমিশন ও বিতরণ পাইপলাইন নির্মাণ শেষ হয়। ইতিমধ্যে প্রকল্পের আওতায় মদুনাঘাট পানি শোধনাগার চালু হয়েছে। সেখান থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার পানি যুক্ত হচ্ছে নগরে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে ওয়াসা চট্টগ্রামবাসীর পানির চাহিদা শতভাগ পূরণ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের দক্ষিণাংশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর কাছে পানি পৌঁছানোর জন্য স্টেশনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই স্টেশন নির্মাণের ফলে নগরীর বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা এলাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ সেখানকার বসবাসকারীদের পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

২০১১ সালের জানুয়ারিতে পতেঙ্গা বুস্টার পাম্প স্টেশন নির্মাণ শুরু হয়। পাম্প স্টেশনটিতে রয়েছে ২ হাজার ৮০০ ঘনমিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পানি রিজার্ভার। রিজার্ভারের সঙ্গে বিখ্যাত পাম্প নির্মাণপ্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ডফোজের চারটি বুস্টিং পাম্প সংযুক্ত রয়েছে, যেগুলোর সাহায্যে ২৪ ঘণ্টা পানি সরবরাহ সম্ভব হবে। পাশাপাশি স্টেশনটি ইয়োকোগাওয়া স্কেডা সিস্টেম দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা হবে। দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় স্টেশনটি চালু রাখার জন্য এফজে উইলসন কোম্পানির ৮০০ কিলো ভোল্টের একটি স্ট্যান্ডবাই ডিজেল জেনারেটর সেট করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রাম ওয়াসা পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকে।