• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাপানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২১  

টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করেছে। রোববার টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।


এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় রাষ্ট্রদূত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়াংশ হয় ডিজিটাল ফরম্যাটে। অনলাইন অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাপানি নাগরিক ও প্রবাসী বাংলাদেশি এ আয়োজনে অংশ নেন।

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ৭ মার্চ এক অনন্য ও উজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য উম্মুখ বাংলাদেশের লাখও জনতাকে শুনিয়েছিলেন মুক্তির বাণী, দিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ ছিল বাংলা ও বাঙালিদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ। ওই ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালিরা দেশ স্বাধীন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন। ’

অনুষ্ঠানে এরপর উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

এছাড়া, বিকেলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাপান বাংলাদেশ সোসাইটি (জেবিএস) ও টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে একটি অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে মূল উপস্থাপনা করেন জেবিএস উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল হক। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেবিএস প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওতানাবে এবং জেবিএস পরিচালক ওসামু হায়াকাওয়া।