• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

টিকা প্রদানে শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছে মন্ত্রণালয়

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২১  

সরকারি ও বেসরকারি (এমপিও ও নন-এমপিও) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) সব শিক্ষক-কর্মচারীকে করোনার টিকা প্রদানে তালিকা তৈরি হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে এ তালিকা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা চাওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে সব শিক্ষক-কর্মচারীকে করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো:

যেসব শিক্ষক-কর্মচারীর বয়স ৪০ বা তারচেয়ে বেশি তাদের www.surokkha.gov.bd-তে নিবন্ধন করে টিকা নেয়া নিশ্চিত করতে হবে। তবে সরকারি ও বেসরকারি (এমপিও/ননএমপিও) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) যেসব শিক্ষক-কর্মচারীর বয়স ৪০ এর কম তাদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ছকে মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতরে সফটকপি পাঠাতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের নিবন্ধন অপশন নিশ্চিত করার পর এসব শিক্ষক-কর্মচারীকেও নিবন্ধন করে টিকা নিতে হবে।

বিষয়টি অতি জরুরি উল্লেখ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ও বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) মহাপরিচালকের কাছে বিতরণের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩০ মার্চ খোলা হবে। তার আগে সব শিক্ষক-কর্মচারীকে টিকা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের দেড় লাখ শিক্ষক করোনার টিকা নিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। বাকিরা নিবন্ধন করছেন। ৩০ মার্চের আগে সবাই টিকা নিতে পারবেন।

তিনি বেলেন, ‘মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষককে করোনার টিকা দিয়েই ক্লাসে নিয়ে আসব। আশা করি, ৩০ মার্চের আগে তারা টিকা নিতে পারবেন।’

দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষকদের টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন সবাই সহায়তা করছেন। তাদের চিঠি লিখছি, সহায়তা করছি। মন্ত্রিসভা থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সুরক্ষা অ্যাপে শিক্ষকদের যুক্ত করা হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ইউজিসির মাধ্যমে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ২২০টি আবাসিক হলের এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর টিকা চাহিদা চাওয়া হয়েছে। এটা পাওয়ার পর দ্রুত তারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে ও নিকটস্থ কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে। তারপর ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে।