• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দণ্ডিত ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে এবার নতুন আদেশ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৮  

যশোর-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানার তিন বছরের সাজা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ প্রার্থীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আদেশটি দেন।

এর ফলে সাবিরা সুলতানার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কোনো আইনগত বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এম আমিনুল ইসলাম।

অথচ দু’দিন আগে এক আদেশে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বলেছেন, দুই বছরের বেশি দণ্ড ও সাজা হলে আপিল করেও কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির পাঁচ নেতার দণ্ড ও সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত মঙ্গলবার ওই পর্যবেক্ষণ দেন। ফলে একই ধরনের মামলায় ভিন্ন আদেশ দেওয়ায় দণ্ডিত অন্যদের ক্ষেত্রে কী ঘটবে এখন সেই প্রশ্ন নতুন করে সামনে এলো।

এদিকে, দণ্ডিত ব্যক্তি দণ্ড বা সাজা স্থগিত করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে হাইকোর্টের বৃহস্পতিবার দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ। এ আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ তার আদেশে বলেছিলেন, কেউ দণ্ড বা সাজা স্থগিতের আবেদন করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এরপর আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ একজনের সাজা স্থগিত করে বললেন, দণ্ডিত ব্যক্তি সাজা বা দণ্ড স্থগিত হলে নির্বাচন করতে পারবেন। তাহলে তো এটা আগের আরেকটি হাইকোর্ট বেঞ্চের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। সে জন্যই আমরা আপিল বিভাগে যাবো।’

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘হাইকোর্ট এমন আদেশ দিতেই পারেন। তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যাব।’

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সেই সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গত ১২ জুলাই ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে দুটি ধারায় ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। ৩০ জুলাই সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।

এরপর ৬ আগস্ট সাবিরা হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। পরে তিনি সাজা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চ ওই আবেদনের শুনানি গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন নিয়ম অনুযায়ী আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়। এরপর প্রধান বিচারপতি আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের বেঞ্চে পাঠান। বৃহস্পতিবার আবেদনটির শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন সাজা স্থগিত করে আদেশ দেন।