• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ধামরাইয়ে আপেল কুল চাষে চমক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ঢাকার ধামরাইয়ে কুলা ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে হাবিবুর রহমান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সার্জেন্ট একই জমিতে উন্নত জাতের আপেল কুল ও মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতা ছাড়াই নিজের চিন্তাভাবনা দিয়ে বল সুন্দরী ও কাশ্মিরি জাতের আপেল কুল চাষ করে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছেন। প্রথম বছরেই মাত্র দুই লাখ টাকা খরচ করে তার পাঁচ বিঘা জমির আপেল কুলের দাম উঠেছে ছয় লাখ টাকা।

হাবিবুর রহমান কয়েক বছর আগে সেনা সার্জেন্ট থেকে অবসর নেন। এরপর কর্মহীন অবসর জীবন তার আর ভালো লাগেনি। পরে অল্প সময়ে কুল চাষে বেশি লাভ করার বিষয়টি ইউটিউব থেকে জানতে পেরে আট মাস আগে ফরিদপুর থেকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে এক হাজার ২০০টি উন্নত জাতের আপেল কুলের চারা কেনেন। এরপর নিজের বাড়ির পাশেই পাঁচ বিঘা জমিতে আপেল কুলের বাগান করেন। এর পর থেকেই তার কুল চাষে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বর্তমানে তিনি একজন সফল কুলচাষি। তবে কুল চাষে কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। কুলের চারার মাঝখানে লাগিয়েছেন মিষ্টি কুমড়া। এসব কুল পাখির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পুরো জমিতেই নেট দিয়ে বেড়া দিয়েছেন। এক দিকে কুল চাষে লাভবান, অপর দিকে মিষ্টি কুমড়া চাষেও ভালো সাড়া ফেলেছেন।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান জানান, পাঁচ বিঘা জমিতে আপেল কুল ও মিষ্টি কুমড়ার চাষ করতে তার প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বন্যার পানিতে অর্ধেক কুল গাছের চারা মারা যাওয়ার পরও সাত-আট মাসেই তার বাগানে বেশ ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ২৫ কেজি করে আপেল কুল ধরেছে। কুল দেখতে সুন্দর আবার খেতেও খুব মিষ্টি। এখন প্রতিদিনই ঢাকার কাওরান বাজার থেকে পাইকাররা কুল কেনার জন্য তার বাগানে আসছেন। দামও বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এলাকার অনেকেই তাকে দেখে কুল চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। হাবিবুর রহমানের বাগানে পর্যাপ্ত কুল গাছের চারা রয়েছে। যে কাউকে সহযোগিতা করতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন।

স্থানীয়রা বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট হাবিবুর রহমানকে দেখে এলাকার বেকার যুবকরা আর বেকার থাকবে না। আরো অনেকেই কুল চাষে এগিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান জানান, কান্দাপাড়া ছাড়াও ধামরাই উপজেলার কয়েকটি স্থানে উন্নত জাতের আপেল কুল ও সবজির চাষ হচ্ছে। তবে হাবিবুর রহমান প্রথম বছরেই একই জমিতে কুল ও মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে বাজিমাত করে দিয়েছেন। আমরা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করতে সব সময় প্রস্তুত। হাবিবুর রহমানকে দেখে আরো মানুষ এ কাজে উৎসাহিত হবে বলে আশা করেন তিনি।