• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচিত হলে ব্যবসা করবো না : টিটু

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

ছিলেন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি এবং ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন

 বেসরকারি জীবন বীমা কোম্পানি সন্ধানী লাইফে দীর্ঘদিন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব পালন করে এখন পুরোদমে বনে গেছেন রাজনৈতিক নেতা ব্যবসায়ী থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হওয়া এই মানুষটির নাম আহসানুল ইসলাম টিটু

 টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসন থেকে এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করবেন ব্যবসা ছেড়ে জাতীয় সংসদ নির্বচনে অংশগ্রণ করা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে গণমাধ্যমের  সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছেন টিটু

টিটু বলেন, ব্যবসা আমার প্রফেশন, আর পলিটিক্স আমার প্যাসন আমি ১৫ বছর ধরে সরাসরি আওয়ামী লীগের থানা, জেলা পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করছি সুতরাং নতুন করে ব্যবসায়ী হিসেবে রাজনীতিতে আসিনি আমার বাবা-মা দু’জনই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন

তিনি বলেন, আমি ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করেছি, কোনো কিছুর অভাব নেই আমাকে রাজনীতি করে, ব্যবসা করে খেতে হবে না আমি বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি তবে গত এক বছর ধরে আমি কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নেই মানুষ রাজনীতি করে ব্যবসা করে, আর আমি ব্যবসা শেষ করে রাজনীতিতে এসেছি বাকি সময়টা আমি আর ব্যবসায় ফিরে আসবো না

আমি নির্বাচিত হলে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হবো না রাজনীতি মানে একেবারে পিওর পলিটিক পারসন হিসেবে পলিটিক্স কাজ করবো মানুষের জন্য কাজ করবো

তিনি বলেন, কোনো একটি বিশেষ পেশা থেকে রাজনীতিতে আসা উচিত আমি এটা বিশ্বাস করি না যেকোনো পেশার মানুষ রাজনীতিতে আসতে পারে তবে একটি বিষয় বিশ্বাস করি তাহল- রাজনীতি যেন ব্যবসায় পরিণত না হয় কিন্তু ব্যবসা করে রাজনীতি করা যাবে না, আমি এটার পক্ষে না

টিটু বলেন, আমার ছেলেমেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হয়েছে আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সব প্রতিষ্ঠিত

তিনি বলেন, মেম্বার অব পার্লামেন্ট (সংসদ সদস্য) একজন ল’মেকার আমি বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কাজ করেছি এবং ল’মেকিংয়ের ক্ষেত্রে খুব ক্লোজলি কাজ করেছি ইন্স্যুরেন্স অ্যাক্ট-২০১০, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন (মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক) আমার হাতে ধরে করা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে ল’মেকিংয়ে কাজ করবো যেমন ডুইং বিজনেসে আমরা সব থেকে খারাপ অবস্থানে আছি বাংলাদেশের ডুইং বিজনেসের র‌্যাংকিং অনেক লো এসব বিষয়ে কাজ করবো

 

 

আমাদের দেশে ফাংশনাল ব্যাংক কলাপসি অ্যাক্ট নেই মানুষ ধুঁকে ধুঁকে অনেক বছর ধরে মরে একটা মানুষ ব্যবসা করতে গিয়ে ডিফল্ট করে ফেললে, সে আর ব্যবসা করতে পারে না ট্রাম্প কিন্তু দুই-তিনটি কোম্পানির ব্যাংক কলাপসি ফাইল করে বিশ্বের নম্বর ওয়ান প্রেসিডেন্ট আমাদের অনেক জায়গা আছে যেখানে বিজনেস ফ্রেন্ডলি রুলস-রেগুলেশন দরকার সেই পরিমাণ ইনপুট পার্লামেন্টে নেই আমার ফোকাস পয়েন্ট থাকবে পার্লামেন্টে গিয়ে যাতে ল’মেকিং করতে পারি’ বলেন টিটু

রাজনীতিতে আসার পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পারিবারিকভাবেই রাজনীতিতে এসেছি আমার বাবা নিজেও সংসদ সদস্য ছিলেন পারিবারিকভাবে দেখেছি সংসদ সদস্য থাকলে মানুষের জন্য, এলাকার জন্য অনেক কিছু করা যায় বিশেষ করে মফস্বলে অনেক পরিকল্পনা করা যায় যেমন- রাস্তার উন্নয়ন, চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করা যায়

তিনি বলেন, আমার এলাকা নাগরপুর-দেলদুয়ার অনেকটাই পিছিয়ে পড়া একদিকে ধলেশ্বর, অন্যদিকে যমুনা, ভালো রাস্তা-ঘাট নেই নাগরিক সুযোগ-সুবিধা খুব কম উল্লেখযোগ্য ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভালো কারিগরি প্রতিষ্ঠান নেই মিল-কারখানা ওইভাবে নেই চাকরির সুযোগ খুবই সীমিত

টিটু বলেন, যুব সমাজের জন্য আমার বিশেষ পরিকল্পনা আছে, তা হলো কর্মসংস্থান  সৃষ্টি করা আমি নিজে একজন উদ্যোক্তা আমার উদ্যোগ থাকবে আমার দুই থানায় যাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারি যে উদ্যোক্তা তৈরি হবে তাদেরকে আমরা ব্যবসার পরিকল্পনা, মার্কেটিং, অর্থায়নে সহায়তা করার চেষ্টা করবো

নির্বাচনের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক দলটি অনেক বড় এবং আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই দলের সঙ্গে রাজনীতি করছি সুতরাং তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ আছে বলে আমি মনে করি না আমার দল বাংলাদেশের সবচাইতে প্রাচীন এবং সব চাইতে সুসংগঠিত দলের পূর্ণ সমর্থন আমার পক্ষে আছে এই এলাকায় (টাঙ্গাইল-৬) আমার জন্ম, এ এলাকার মানুষ নিয়ে আমি অনেকদিন কাজ করেছি তাদের সহযোগিতা পাচ্ছি

তিনি বলেন, এলাকার মানুষের জন্য আমার তিনটি বিশেষ প্রতিশ্রুতি আছে এগুলো হলো- মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিশ্চিত করা, সবার জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং শেখ হাসিনার যে দারিদ্রবিমোচন কর্মসূচি (২০৩১ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়া) তা বাস্তাবয়ন করা একই সঙ্গে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করা, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কাজ করবো আমার এখানে অনেক নারী উদ্যোক্তা আছে, তাদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করবো আমার এলাকার অর্ধেকের বেশি নারী, তাদেরকে স্বাবলম্বী করতে পারলে ভাগ্যের পরিবর্তন করা সম্ভাব

নির্বাচনে ফলাফলের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমি এলাকার মানুষের সঙ্গে কাজ করছি এলাকার মানুষ আমার সঙ্গে আছে দলের কর্মীরাও একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করছে সুতরাং জয়ের বিষয়ে আমি পুরোপুরি আশাবাদী