• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রতিবেশী চাচিকে বিশ্বাস করাই কাল হলো কিশোরীর

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২০  

পানিতে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে হাত-পা বেঁধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে রাতেই ধর্ষকের সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


স্বজনরা জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর একই এলাকার কামাল শিকদারের ছেলে রতনও ওই বাড়িতে যায়। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিবেশী চাচি কিশোরীকে কেক খাওয়ায়।

পরে কিশোরী পানি খেতে চাইলে চাচি তাকে বাঁধা দেয় এবং রতনকে ঘর থেকে পানি এনে দিতে বলে। রতন পানি এনে খাওয়ানোর কিছুক্ষণ পরই সে অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিবেশী চাচির সহযোগিতায় তার হাত-পা বেঁধে কিশোরীকে ধর্ষণ করে রতন চলে যায়।

এদিকে মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় বড় বোন ও মা তাকে খুঁজতে গেলে চাচির ঘরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায় নির্যাতিতাকে।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে লম্পট রতন নির্যাতিতার মায়ের কাছে এসে ক্ষমা চায় এবং কাউকে কিছু না জানানোর অনুরোধ করে।

অপরদিকে স্থানীয় মাতব্বররা তিনদিন মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাতে নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে রতন ও প্রতিবেশী চাচি সুমির নামে দেলদুয়ার থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।


এ প্রসঙ্গে দেলদুয়ার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় গতকাল (৩ নভেম্বর) রাতে ধর্ষক ও সহযোগীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন কিশোরীর বাবা। বুধবার আদালতে নির্যাতিতা ছাত্রীর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করাসহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে।

ধর্ষণে সহযোগিতা করার অপরাধে মামলার দুই নম্বর আসামি সুমিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও ধর্ষক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।