• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান শুক্রবার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯  

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ফজলুল হক স্মরণে ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান করা হবে ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় ওয়েস্টিন হোটেলে। 

এ বছর ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯’ পাচ্ছেন চলচ্চিত্র পরিচালনায় বিশিষ্ট চলচ্চিত্রাভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দা ও চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় রাফি হোসেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। প্রতিটি পুরস্কারের অর্থমূল্য ২৫ হাজার টাকা। সঙ্গে থাকবে সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট। 

১৯৩০ সালের ২৬ মে বগুড়ার এক সমভ্রান্ত পরিবারে জনগ্রহণ করেন ফজলুল হক এবং ১৯৯০ সালের ২৬ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন এ দেশের প্রথম সিনেমা বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’র সম্পাদক ও প্রকাশক। ১৯৫০ সালে বগুড়া থেকে পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশ হয়। পরবর্তী সময়ে প্রকাশনা ঢাকায় স্থানান্তিত হয়। ষাটের দশকের শুরুতে ফজলুল হক ‘প্রেসিডেন্ট’ নামে একটি শিশুতোষ সিনেমা তৈরি করেছিলেন যা তৎকালীন সময়ে পুরস্কৃতও হয়েছিল। ‘প্রেসিডেন্ট’ ছবিতে শিশুনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলে শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করে সেই সময়ে পুরস্কৃতও হয়েছিলেন। ‘প্রেসিডেন্ট’ ছবিটি যখন নির্মিত হয় তখন ঢাকায় প্রযোজিত সিনেমার সংখ্যা মাত্র কয়েকটি। পরে তিনি ‘উত্তরণ’ নামে আরো একটি সিনেমা পরিচালনা করেন।

ফজলুল হকের সহধর্মিণী বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন। জ্যেষ্ঠপুত্র ফরিদুর রেজা সাগর বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি., চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ছোট ছেলে ফরহাদুর রেজা প্রবাল বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক সময়ের জনপ্রিয় উপস্থাপক ও বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী স্থপতি, বড় মেয়ে কেকা ফেরদৌসী বিশিষ্ট রন্ধনবিদ ও ছোট মেয়ে ফারহানা মাহমুদ কাকলী একজন সুগৃহিনী।

চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা ও চলচ্চিত্র নির্মাণের একেবারে সূচনা পর্বে ফজলুল হকের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ‘ফজলুল হক স্মৃতি কমিটি’ প্রতি বছর একজন চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সেরা চলচ্চিত্রের পরিচালককে পুরস্কৃত করে আসছে।

২০০৪ থেকে প্রবর্তিত এই পুরস্কার ইতিমধ্যে পেয়েছেন- ফজল শাহাবুদ্দীন ও আহমদ জামান চৌধুরী (২০০৪), চাষী নজরুল ইসলাম ও হুমায়ূন আহমেদ (২০০৫), সাইদুল আনাম টুটুল ও রফিকুজ্জামান (২০০৬), সুভাষ দত্ত ও হীরেন দে (২০০৭), আবদুর রহমান ও গোলাম রাব্বানী বিপ্লব (২০০৮) সৈয়দ শামসুল হক ও আমজাদ হোসেন (২০০৯), চিন্ময় মৃৎসুদ্দী ও মোরশেদুল ইসলাম (২০১০), ই আর খান ও অনুপম হায়াৎ (২০১১), নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও গোলাম সারওয়ার (২০১২), নায়করাজ রাজ্জাক ও রেজানুর রহমান (২০১৩), সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী ও আরেফিন বাদল (২০১৪), মাসুদ পারভেজ ও শহীদুল হক খান (২০১৫), আজিজুর রহমান ও মোস্তফা জব্বার (২০১৬), আবদুল লতিফ বাচ্চু ও নরেশ ভূঁইয়া (২০১৭), মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও শফিউজ্জামান খান লোদী (২০১৮)।