• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বন্দোবস্ত বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে গ্রামবাসীর আবেদন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২১  

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সাজেদুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে তার মাকে দুঃস্থ বানিয়ে ৫৩ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৮ জানুয়ারি উপজেলার বেতুয়া গ্রামের ২০জন নারী পুরুষ ওই বন্দোবস্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার বেতুয়া মৌজায় বেতুয়া গ্রামের বড়কুড়ি এলাকায় ১ নম্বর খতিয়ানভূক্ত ৪০৮০ নম্বর দাগে ৫৩ শতাংশ জমি ওই গ্রামের ২০জন ব্যক্তি বীজতলা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। তারা বংশ পরম্পরায় প্রায় ১০০ বছর ধরে ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন বলে অভিযোগে দাবি করেছেন। প্রায় বছর খানেক আগে  জমিটি ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক মৃত ডা. জোয়াহেরুল ইসলামের ছেলে সখীপুর ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সাজেদুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে তার মায়ের নামে বরাদ্দ নেন। ধনী মানুষ হওয়ার পরও তার মাকে দুঃস্থ বানিয়ে ওই বরাদ্দ নিয়েছেন বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন।

বেতুয়া গ্রামের আজাহার আলী বলেন, ১০০ বছর ধরে আমরা ২০-২২টি পরিবার ওই জমিতে বীজতলা হিসেবে ব্যবহার করে আসছি। বর্ষাকালে ওই জমির ওপর দিয়ে নৌকা চলে। হঠাৎ করে খবর পেলাম ওই জমি সাজেদুল ইসলাম দখল নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে। তিনি আরও বলেন, সখীপুর ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সাজেদুলের বাবা মৃত ডা. জোয়াহেরুল ইসলাম ধনী মানুষ ছিলেন। সখীপুর উপজেলা শহরে দুটি দামি জমি ছিল। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছিলেন। চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচন করেছিলেন। সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন। তার এক ছেলে সেনাবাহিনী চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। আরেক ছেলে রেজাউল ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকরি করেন। ছোট ছেলে সাজেদুল প্রায় এক যুগ ধরে ভূমি অফিসে চাকরি করছেন। এরপরেও তাদের পরিবার দুঃস্থ হলে আমরা তাদের চেয়ে বেশি দুঃস্থ।

ওই গ্রামের আকবর আলী বলেন, সাজেদুলের বাবা বৃদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার মা সাজু বেগমের বয়স ৭০ বছরের উপরে। তার মা বৃদ্ধ বয়সে ওই জমি দিয়ে কী করবেন। ওই জমিতে তো কোনো ফসল হয় না। বছরের ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে। শুধু বোরো চাষে বীজতলা হিসেবে ওই জমি ব্যবহার ছাড়া কোনো উপায় নেই। ওই জমিতে বাড়ি-ঘর করারও কোনো সুযোগ নেই। প্রকৃতপক্ষে সাজেদুল নিজেই ওই জমি ভোগ দখল করার উদ্দেশ্যে তার বৃদ্ধ মায়ের নাম ব্যবহার করেছেন।

উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সাজেদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা। আমার মা দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হিসেবে খাসজমি বন্দ্যোবস্ত পেয়েছেন। এখানে আমি কোনো প্রভাব খাটাইনি। আমার মা আইনগতভাবেই ওই জমি বরাদ্দ পেয়েছেন।