• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি রেলকে গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২০  

যমুনা নদীর ওপর দেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। রোববার (২৯ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
 

তিনি জানান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দেশের যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিক, উন্নত ও বহুমুখী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেলসেতু নির্মাণ একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন তার প্রয়োজনীতা সবাই উপলব্ধি করেছে। এশিয়ান হাইওয়ে ও রেলওয়ের সঙ্গে যদি আমরা সম্পৃক্ত হতে পারি। তাহলে বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। যোগাযোগ হলেই অর্থনীতি সচল হবে। ফলে মানুষের আর্থিক সচ্ছলতাও আসবে। এটাই আমি বিশ্বাস করি। 

সারাদেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্কে আধুনিক ও উন্নত এবং বহুমুখী করা হবে, যা মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে। সেদিকে নজর রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান সরকারপ্রধান। 

বিএনপি রেলকে গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশেই রেলের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায় বর্তমান সরকার।

২০১৬ সালে যমুনা নদীতে বর্তমান সেতুর পাশে উত্তরেই ৩০০ মিটার উজানে একটি বিশেষায়িত রেলসেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে সরকার। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার এ ডুয়েলগেজ এর ডাবল ট্র্যাকের সেতুটি নির্মাণ করা হবে শুধু ট্রেন চলাচলের জন্য।

এই সেতুটি নির্মাণে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে সহযোগিতা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোর-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। সেতুটির পূর্ব অংশ নির্মাণ করবে ওবায়শি করপোরেশন, টিওএ করপোরেশন এবং জেএফই এবং আইএইচআই এবং এসএমসিসির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হবে পশ্চিম অংশ। সেতু দুই প্রান্তে শূন্য দশমিক ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, শূন্য সাত দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচসহ মোট ৩০ কিলোমিটার নতুন লাইন নির্মাণ করা হবে।

বর্তমান বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে সিঙ্গেল লাইনের সীমাবদ্ধতায় ক্রসিংয়ের জটিলতায় সেতু পার হতে ট্রাফিক সিগন্যালেই নষ্ট হয় যাত্রা পথের বড় একটা সময়। ডাবল লাইনের নতুন সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে ১০০ কিলোমিটার গতিতে যমুনা নদীতে ট্রেন পার হবে। আরও নিবিড় হবে রাজধানীর সঙ্গে কার্যকর ও গতিময় রেল যোগাযোগ।

২০২৪ সাল নাগাদ এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন নীতিনির্ধারকরা। এর ফলে শুধু অভ্যন্তরীণ রেলব্যবস্থাই নয়, সার্ক বিমসটেকসহ আঞ্চলিক উপ-আঞ্চলিক এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সুবিধাও পাবে দেশের মানুষ।