• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

বেরিয়েই যাচ্ছেন কামাল!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৮  

বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যকার দূরত্ব বেড়েছিলো আগেই। পুরোনো এ খবরকে ছাপিয়ে এসেছে নতুন সংবাদ। দাবি-দাওয়া পূরণ না হলে ক্ষোভে অপমানে জোট থেকে বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কামাল হোসেন। ঐক্যফ্রন্টের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে একথা।

বিএনপির পক্ষ থেকে অবশ্য এ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য জানাতে অস্বীকার করেছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষস্থানীয় এক নেতা কামালের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পাশ করার ক্ষমতা নেই, তার আবার দাবিদাওয়া! বৃদ্ধ বয়সে কামাল তামাশা করছেন। আমাদের দলের দুঃসময় বিধায় আমরা এতকিছু সহ্য করছি। নয়তো বহু আগেই উনাকে জোট থেকে বের করে দেয়া হতো। আমরা অতিষ্ঠ।

ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, জোট গঠনের শুরু থেকেই তিনি বিএনপির উপর ক্ষুব্ধ। বিশেষত স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াতকে দূরে সরাতে চেয়েছিলেন তিনি। তারেকের প্রতিও তিনি নাখোশ আগে থেকেই। এসকল ইস্যুতে সন্তোষজনক সমাধানের ‘ছেলে ভোলানো আশ্বাস’ দিয়ে কামালকে পাশে ভেড়ায় বিএনপি।

তবে জোটগঠনের পরেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে বিএনপি। জামায়াতের সাথে তাদের খাতির থাকে অব্যাহত। এমনকি অনেকগুলো দল নিয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্টকে যেখানে দেয়া হয়েছে ১৮ টি আসন, সেখানে কেবল জামায়াতই পেয়েছে ২৫টি আসন। গোঁদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে মার্কা ইস্যুও। জামায়াত যেখানে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবে, সেখানে কামাল তো বিব্রতবোধ করবেনই। হয়েছেও তাই।
বিএনপি জামায়াত আমলের অপকর্ম-সন্ত্রাসের দায়ও যে কামালের উপর বর্তাচ্ছে, সে বোধোদয়ও হয়েছে তার।

তাই বেঁকে বসেছেন কামাল। জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তত ২৫ আসনে মনোনয়ন না পেলে তার দল ঐক্য ফ্রন্টে থাকবে না। ইতোমধ্যে ঘনিষ্ঠজনদের জানিয়ে দিয়েছেন, তার দল গণফোরাম ও সমমনারা ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। শুরু হয়েছে এর প্রস্তুতিও।

এখন দেখার বিষয়, কামালের সাথে সাথে ‘ঐক্যফ্রন্ট’ নামক তাসের ঘর থেকে আর কারা কারা বেরিয়ে যায়!