• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ভাসানচর উদ্বাস্তুদের জন্য একটি আদর্শ আশ্রয়স্থল

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২০  

জাতিসংঘ নির্ধারিত আকারেরও বড় মাথা গোঁজার ঠাঁই। সৌরবিদ্যুৎ জোগাবে আলো আর পানি। রান্নায় সাশ্রয়ী আর পরিবেশবান্ধব চুলা। শিশুদের জন্য স্কুল, খেলার মাঠ। কক্সবাজারের ক্যাম্পের তুলনায় এমন অন্তত ১৬টির বেশি সুবিধা নিয়ে ১ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থীর জন্য অপেক্ষা করছে ভাসানচর।

১৪ থেকে ১৫ হাজার শ্রমিকের ২ বছরের পরিশ্রমের ফসল নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর। অনুপ্রেরণা একই জেলার রামগতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত গুচ্ছগ্রাম ধারণা। পিতার দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অস্থায়ী আবাসন গড়তে যোগ করেছেন পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন মডেল।

ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার ও ভাসানচরের তুলনা করতে গিয়ে দেড় ডজন ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে। এখন রোহিঙ্গারা থাকছেন তাঁবুতে বা বাঁশের তৈরি কাঁচা ঘরে। আর ভাসানচরে প্রস্তুত, ১২০টি ক্লাস্টার বা গুচ্ছগ্রাম। যার প্রতিটিতে থাকছে ১২টি করে বাড়ি। প্রতিটিতে ১৬টি করে কক্ষ। প্রতিটি কক্ষ বরাদ্দ পাবে চার সদস্যের একটি পরিবার। সাবমার্সিবল পাম্প, ১৩০টি পুকুর ও ২টি লেক থাকায় পানি হাতের নাগালেই। ডিজেল জেনারেটর আর সৌরবিদ্যুতে সবসময় মিলবে আলো। কক্সবাজারে এমন কোন অবকাঠামো নেই।

কক্সবাজারে রান্নার জন্য বনজ জ্বালানির ওপর নির্ভর করতে হয়। ভাসান চরে থাকছে ইকোচুলা আর বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট।

এ ছাড়া শিশুদের জন্য থাকছে ২টি স্কুল ও একটি এতিমখানা। আরও থাকছে, ৩টি মসজিদ, ৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ২টি ২০ শয্যার হাসপাতাল। সব মিলিয়ে ভাসানচরকে উদ্বাস্তুদের জন্য একটি আদর্শ আশ্রয়স্থল মনে করেন প্রকল্প পরিচালক কমোডর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।

কক্সবাজারে যেখানে ২০ জনের জন্য একটি টয়লেট ও ৮০ জনের জন্য একটি বাথরুম, সেখানে ভাসানচরে ১১ জনের জন্য একটি টয়লেট এবং ১৬ জনের জন্য একটি বাথরুমের ব্যবস্থা রয়েছে। সে সঙ্গে ১ লাখ লোকের ৩ মাসের খাবার মজুতে রয়েছে ২টি গুদাম, যা কক্সবাজারে নেই।

অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য এখানে রয়েছে ৪২ কিলোমিটার রাস্তা।