• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মহামারি মোকাবিলায় জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর তিন প্রস্তাব

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২০  

করোনা মহামারি ঠেকাতে শুধু বিশেষ কোনো অঞ্চল নয়, সমগ্র পৃথিবীকেই নিরাপদ করার উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সমন্বিত ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ ভার্চুয়াল অধিবেশনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম)’র বর্তমান চেয়ার আজারবাইজান এবং জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল দুই দিনের এ বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন।

এ সময় যথাসময়ে ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সবার জন্য মানসম্মত ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে মহামারি মোকাবিলায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তিন দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি।

প্রথম দফায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের জীবন বাঁচাতে ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে পৃথিবীর প্রত্যেকের জন্য ভ্যাকসিন সহজ-প্রাপ্য ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। এখানে কাউকে পেছনে রাখা সমীচীন হবে না। এটি মহামারি পরাস্ত করতে, জীবন বাঁচাতে এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে আমাদের সহায়তা করবে।’

দ্বিতীয় দফায় করোনার ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক পণ্য’ হিসেবে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ভ্যাকসিন তৈরিতে উন্নত দেশগুলোর উচিত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া। সুযোগ পেলে বাংলাদেশও ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা দেখাতে পারে। ডব্লিবউএইচও’র অ্যাক্ট এবং কোভাক্স সুবিধার উদ্যোগ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও জানান তিনি।

তৃতীয় দফায় ভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় এ অধিবেশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব বহন করে- উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহামারিতে সংকটে ভুগতে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য যথাযথ আর্থিক সহায়তা অনুমোদন করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি জাতিসংঘ, আইএফআই, সুশীল সমাজকে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং কোভিড-১৯ মোকাবেলায় একে অপরের সাথে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে, কোভিড-১৯’র বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি। অনেক দেশই দ্বিতীয় ধাক্কার মুখোমুখি হচ্ছে। এ মহামারি আমাদের মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণের এবং তা আরও উন্নত করতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।

মহামারির কারণে বাংলাদেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আমাদের অর্থনীতি, আমাদের জীবন ও জীবিকা, আমাদের অভিবাসী জনগোষ্ঠিকে ব্যাপক প্রভাবিত করেছে এবং আমাদের সাফল্যকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তবে শুরু থেকেই অর্থনীতি ও জনগণকে মহামারি থেকে রক্ষায় সাহসী পদক্ষেপ নেয়ায় তা অনেকটা মোকাবেলা করা গেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়, কর্মসংস্থান ও উৎপাদনশীলতার ওপর প্রভাব হ্রাস করতে ১৪.১৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, যা জিডিপির ৪.৩ শতাংশের সমান।’