• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জে পানি প্রবাহ বন্ধ করায় কৃষি কাজে ক্ষতির আশংকা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২০  

মানিকগঞ্জে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে মাটি ভরাট ও দেয়াল নির্মানের কারণে শতশত বিঘা কৃষিজমি   চাষাবাদ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় এলাকার কৃষকরা। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের  মুলজান, বাগজান, ভাটবাউর, কালিয়ানি, চামটা এলাকার কৃষি জমিতে বর্ষার পানি প্রবেশ এবং বের হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পথ হলো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থিত ভাটবাউর সেতু ও মুলজান এলাকায় নির্মিত মুলজান সেতু। এবার তিন দফা বন্যায় পানি নামতে দেরি হয়েছে। তার উপর  মুলজান সেতুর মুখ ভরাট করার কারণে পানি নামতে পারছে না। সময়মত পানি না নামার কারণে শতশত একর জমি পতিত থাকবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান। হাজারো পরিবারে দেখা দিবে চরম খাদ্য সংকট।  

সরেজমিনে দেখা যায়, পানির স্রোত বন্ধ করে দেওয়ার কারণে কচুরিপানায় ভরে রয়েছে কৃষি জমি। এলাকার কৃষক রমিজ, কালা, বেলাল বলেন, আমরা চাষাবাদ করে সংসার চালাই। এই জমিতে সরিষা ও ইরি আবাদ করি। পানি আটকে পরায় সরিষা তো হবেই না ইরির আবাদ সময়মতো করতে পারবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। 

গজারিয়া ৩ নং গভীর নলকূপের ম্যানেজার জসিম উদ্দিন বলেন, গজারিয়া চকে বিভিন্ন ইটভাটা ও পৌরসভার ময়লা ফেলার ভাগার হওয়ায় কৃষি জমি কমেছে অনেক। এর উপর পানি প্রবাহ বন্ধ করায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। তিনি আরও বলেন, এই চকে ৪টি গভীর নলকূপ ও ১২ অগভীর নলকূপ রয়েছে। সময়মতো পানি না নামার কারেণে সরিষা চাষতো হবেই না ইরির আবাদও  ব্যাহত হবে। এ ছাড়াও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উত্তর পাশ দিয়ে প্রবাহমান খালটি বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কারণে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। 
জমি প্রবাহ ভরাটকারী তরা সোহাগ টিম্বার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান  মো. আবু হানিফ শাহ বলেন, আমি জায়গাটি ক্রয় করে ভরাটের কাজ শুরু করেছি। পানি প্রবাহে সমস্যা হলে আমি ঠিক করে দিবো। 

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পানি প্রবাহ চলমান রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শীত মৌসুমের আগেই ভরাট করা মাটি অপসারণ করে পানির প্রবাহ সচল করার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।