• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মিরপুরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে, রাস্তায় অবাধে চলছে মানুষ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২১  

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজধানীর মিরপুরের সড়কগুলোতে কড়া নজরদারি রাখছে পুলিশ। এলাকার বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। অনুমোদন ও যৌক্তিক কারণ ছাড়া বের হওয়া যানবাহগুলো ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে সড়ক ও ফুটপাত দিয়ে অসংখ্য মানুষকে অবাধে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

বুধবার  বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে পরিবহন ও জনমানুষ চলাফেরায় কঠোর বিধিনিষেধ পালিত হচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট। এই চেকপোস্ট অতিক্রম করে কেউ যেতে পারছেন না। সবাইকে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পার হতে হচ্ছে। এদিন জরুরি সেবায় নিয়জিত, জরুরি প্রয়োজন ও মুভমেন্ট পাস ছাড়া কাউকে চেকপোস্ট অতিক্রম করতে দেয়া হচ্ছে না। তবে এদিন মিরপুরের অলিগলিসহ প্রধান সড়কগুলোতে রিক্সা চলাচল করতে দেখা গেছে।


মিরপুর ৬০ ফিট ভাঙ্গা ব্রিজের সামনে বসানো পুলিশের চেকপোস্টে দেখা যায়, এ সড়কে চলাচলরত প্রায় প্রতিটি পরিবহনকে আটক করে গন্তব্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অনুমোদন, জরুরি সেবা ও যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।

এই চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই রিয়াজ জানান, সকাল ৭টা থেকে এখানে ডিউটি করছেন। যারা এ পথ দিয়ে যাচ্ছেন তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসা কোথায় যাচ্ছেন জানতে চাওয়া হচ্ছে। যারা পাস ও জরুরি কারণ দেখাতে পারছেন তাদের যেতে দেয়া হচ্ছে, অন্যদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

মিরপুর জার্মান টেকনিক্যাল মোড়ে ৫ জন পুলিশের উপস্থিতিতে একটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে দায়িত্বরত এএসআই নাসির জানান, যাদের বাইরে বের হওয়ার উপযুক্ত কারণ রয়েছে তাদেরকে যেতে দেয়া হচ্ছে, অন্যদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে বেশ কিছু মটরসাইকেলকে বেপরোয়া ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। তাদের গতি বেশি থাকায় পুলিশ থামানোর চেষ্টা করেনি।

মিরপুর ১০ নম্বর মোড়ে ট্রাফিক ও ক্রাইম পুলিশের সহযোগিতায় বড় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় বের হওয়ায় বেশ কিছু পিকআপ ও ব্যক্তিগত পরিবহনকে মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানান ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জামান।

জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের এডিসি রানা  বলেন, ক্রাইম ও ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় মিরপুরে মোট ১৫টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সরকারি বিধিমোতাবেক জরুরি সেবা ও অনুমোদন থাকা যান চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। অন্যরা যারা বিনা কারণে ব্যক্তিগত ও ভাড়ায় চালিত পরিবহন নিয়ে বের হচ্ছেন তাদের চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। আইন অমান্য করায় অনেক গাড়িতে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরিবহন না থাকায় মিরপুরের অলিগলি ও কোনো কোনো সড়কে রিকশা চলাচল করার চেষ্টা করছে। দয়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সেসব রিক্সা ধরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে। বাজার ও জরুরি সেবা চালু থাকায় মানুষজন রাস্তায় বের হয়েছেন।