• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

যৌন সমস্যা প্রতিরোধক কিসমিস

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০১৯  

অতি পরিচিত, প্রিয় একটি উপাদান, যা পায়েস থেকে কেক, সব কিছুতে একটু না দিলে মনে হয় কী যেন নেই। অনেক উপকারিতা রয়েছে ছোট ছোট কিসমিসের দানাতে। কিসমিস হচ্ছে রোদে বা ড্রায়ারে শোকানো আঙুর। রঙ সোনালী কিংবা গাঢ় বাদামী। কিসমিস যেমন নানা ধরনের সুখাদ্যে রান্নার সময়ে দেয়া হয়, তেমনি হেলথ টনিক বলুন বা হাই এনার্জি ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে। শুকনো বলে কিসমিস-এর ফাইবারগুলোও শুকিয়ে থাকে। ফলে জলের মধ্যে পড়লে সেগুলি ফুলে ওঠে। এটা পেটের ভেতরে বাকি খাবারের সাথে গেলে পেটের স্বাভাবিক ফ্লুইডগুলিকে টেনে নিয়ে ফুলে ওঠে এবং খাবার পাকস্থলী থেকে নিচে নামতে সাহায্য করে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় যারা ভোগেন তারা নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন। কিসমিসে যে ফাইবার থাকে সেটা জলে গলে না, তাই এটাকে ইনসলিউবল ফাইবার বলা হয়। সেই জন্যই কিসমিস জল টেনে ফুলে ওঠে। একইভাবে, ডায়েরিয়া সমস্যাতেও কিসমিস সাহায্য করে, কারণ স্টুলের অতিরিক্ত জল শুষে নেয় কিসমিস, ফলে বারবার বেগ

পাওয়াটা আটকে দেয়। সব ড্রায়েড ফ্রুট যেমন খেজুর কাজুবাদাম ইত্যাদির মতই, কিসমিস ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ এতে আছে প্রচুর ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ এবং পোটেনশিয়াল এনার্জিতে ভরপুর এই কিসমিস। বডিবিল্ডার বা এথলেটদের ক্ষেত্রে কিসমিস খেতে বলা হয় কারণ তাদের প্রচুর এনার্জি লাগে বা ওজন বাড়ানোর জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এড়িয়ে কিসমিস খেলে সুস্থ ভাবে ওজন বাড়তেও সাহায্য পাওয়া যায়। কিসমিসে আছে ভিটামিনস, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং সেলেনিয়াম এবং ফসফরাসের মত মিনারেল, যেগুলি প্রোটিন এবং অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টগুলিকে শোষিত হতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিসমিস অন্যান্য খাবার থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন শরীরে শুষে নিতেও সাহায্য করে, ফলে সার্বিক এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করে তোলে।
সেক্সুয়াল সমস্যা প্রতিরোধ: কিসমিসকে বহুদিন থেকেই লিবিডো বর্ধনকারী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর্জিনিন যা পাওয়া যায় কিসমিসে, তা স্পার্মের চলাচলে সাহায্য করে, যেটি গর্ভধারণে সাহায্য করে। ভারতীয় বিয়েতে বৌভাতের দিনে বর বধূকে গরম দুধে কিসমিস এবং কেশর দিয়ে খাওয়ানোটা প্রাচীন রীতি। যাদের যৌন সহনশীলতা কম, তাদেরকেও রেগুলার কিসমিস খেতে পরামর্শ দেয়া হয়।
তবে অধিক পরিমাণে কিসমিস খেলে সমস্যা হতে পারে, তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা। কারণ ফ্রুক্টোজ বা গ্লুকোজ ডায়াবেটিস-এর রোগীর জন্য মারাত্মক হতে পারে। কিসমিস ছোট হলেও উপকারিতা অনেক।