• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজধানীতে বাড়ছে সৌখিন শারীরিক সম্পর্ক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২০  

আতিক হাসান (ছদ্মনাম)। পড়াশোনা করছেন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। করোনার কারণে হল বন্ধ। তাই অগত্যা বাড়ি চলে যান। গ্রামের বাড়ি ঢাকার একদম পাশে। ঘণ্টা দুয়েকের পথ। লক ডাউনের পুরোটা সময় ছিলেন বাড়িতে। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে অস্থির হয়ে উঠে আতিক। দীর্ঘ দিন শারীরিক সম্পর্কের বাইরে তিনি। তাই লক ডাউন শেষ হতেই চলে আসেন রাজধানীতে। রাত কাটান বনশ্রীর একটি বাসায়। আর পরদিন সকালেই বাড়ি চলে যান।

মাসে এক দুইবার না যেতে পারলে অস্থির হয়ে উঠেন তিনি। রাজধানী ঢাকায় এই রকম আতিকের সংখ্যা অনেক। তবে তারা সকলেই ছদ্মবেশী। তাদের এমন সম্পর্কের বিষয়ে একান্ত পরিচিত জন ছাড়া কেউ জানেন না। শারীরিক সম্পর্কের দিক থেকে তারা সৌখিন।

আতিকের সাথে বলে জানা যায়, একটা প্রেম করলে মাসে ভালই টাকা খরচ হয়। রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাওয়া, বাইরে ঘুরতে যাওয়া। খরচের শেষ নেই। কিন্তু মাসে দুই তিন হাজার টাকা খরচ করলেই, জৈবিক চাহিদা নিবৃত্তি করা যায়। চাইলে প্রেমিক প্রেমিকার মতো সময়ও কাটানো যায়। বাইরে ঘুরতে যাওয়া যায়।

কারণ তারা কেউ পেশাদার যৌন কর্মী নয়। এদের সবাই পড়াশোনা করে। কেউ এই ধরণের কাজ করে একটু বাড়তি পয়সার আশায়। এতে করে ভাল করে চলতে পারে। হাত খরচের কোন সমস্যা হয় না। আবার কেউ আসে নিতান্ত শখের বশে। সেইসাথে শারীরিক চাহিদার বিষয়টি তো আছেই। ফলে এভাবে শখের বশে বা সৌখিনভাবে অনেকেই জড়াচ্ছেন শারীরিক সম্পর্কে।

দিনে দিনে এমন সৌখিন শারীরিক সম্পর্ক বাড়ছে। এখানে বাঁধা ধরা কোন নিয়ম নেই। আবার কেউ পেশাদারও না। কোন রকম সন্দেহ করারও সুযোগ নেই। কারণ এখানে দু’জনই অনেকটা কাছাকাছি বয়সের। পেশায় দু’জনই শিক্ষার্থী। অবশ্য চাকরিজীবী যে থাকেন না, এমনটা নয়। কিন্তু তারা যে, অর্থের বিনিময়ে যৌনতা ফেরি করে; এমনটা ভাবনার অতীত। আতিকের মতো এই রকম বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হয়। অবশ্য এদের কেউ কেউ এখন এসবে নেই। তার পরেও কথা হয়, সৌখিন যৌনতা নিয়ে। এমন শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে। তারা জানান, অনেক তরুণ-তরুণী প্রেম করতে পারে না। আবার কেউ প্রেমের প্রতি বিরক্ত। কিন্তু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ কাজ করে। জৈবিক চাহিদারও একটি বিষয় থাকে।

রাজধানীতে অনেক মেয়েই রক্ষণশীল পরিবার থেকে আসে। তাদের প্রকাশ্যভাবে জৈবিক চাহিদা নিবৃত্তের সুযোগ নেই। কিন্তু আকর্ষণ ঠিকই কাজ করে। ফলে অনেকেই গোপনে এই ধরণের সম্পর্কে জরায়। তবে এখানে টাকা হলেই সবার সাথে সম্পর্ক করা যায় না। কারণ সবারই একটা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয় থাকে। গোপনীয়তা এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এটা রক্ষাও করা হয়।

ভাড়াটে প্রেমিক-প্রেমিকার ধারণা চীন, জাপানসহ এশিয়ার অনেক দেশেই প্রচলিত। অবশ্য এ সকল দেশে যৌন চাহিদা মেটানোর বিকল্প সুযোগও অনেক। কিন্তু খোদ রাজধানী ঢাকায় অনেকটা এই রকমভাবেই গড়ে উঠছে সৌখিন শারীরিক সম্পর্কের মডেল। আর দিনে দিনে তা বাড়ছেও।