• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

গবেষণায় চবি অধ্যাপক ড. আতিয়ারের সম্মাননা অর্জন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২১  

গবেষণায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমানকে সম্মাননা দিয়েছে চিটাগং ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস রিসার্চ সেন্টার (সিইউএসআরসি)।

সিইউএসআরসি কর্তৃক আয়োজিত ‘ইয়ুথ রিসার্চ কনফারেন্স-২০২১’ অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য এই গবেষকের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। তিনি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডাটাবেজ ‘স্কোপাস’ -এর তালিকায় শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান করছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান সম্প্রতি স্কোপাসের গবেষক তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেন। এ পর্যন্ত এই ‘অল্টারনেটিভ মেডিসিন’ গবেষকের ১০৩টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে ৯৭টিই প্রকাশিত হয়েছে ‘বায়োমেডিসিন অ্যান্ড ফার্মাকোথেরাপি’সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে। বর্তমানে ড. আতিয়ারের রিসার্চগ্রুপে পিএইচডি, এমফিল ও মাস্টার্সসহ দেশ-বিদেশের প্রায় পঁচিশ জন কাজ করছেন।

ড.আতিয়ার রহমান বলেন- একজন ভালো গবেষকের কাজ হচ্ছে বিষয়বস্তু সময় অসময়ে পরিবর্তন না করা। মৌলিক বিষয়কে এক রেখে বিষয়বস্তুর ভিতরে কোথাও যদি অসুবিধা দেখা দেয় তখন আংশিক পরিবর্তন হতে পারে। ভালো গবেষক মৌলিকভাবে একটি বিষয়ের উপরই কাজ করে।

তিনি বলেন, যারা সায়েন্সকে প্রমোট করছে আমরা তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাই। উদ্যোগ যত ছোট হোক না কেন, আগামীর বাংলাদেশ গঠনে এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং আমাকে যে সম্মাননা দেয়া হয়েছে এর মাধ্যমে দেশের প্রতি আমার দায়িত্বকে আরো বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিইউএসআরসি এর চিফ কো-অর্ডিনেটর এসএম আমজাদ হোসাইন বলেন, একটি দেশ তত বেশি উন্নত যতবেশি সে দেশের গবেষণা কর্ম সমৃদ্ধ। আগামীর ডিজিটাল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে গবেষণা কর্মে অনেকাংশে অবদানের নিমিত্তেই আমাদের এই সংগঠনের যাত্রা। আমরা দেশসেরা সকল গবেষকদের প্রমোট করার জন্য এ সম্মাননা প্রদানের ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত রাখব।

প্রসঙ্গত, চিটাগং ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস রিসার্চ সেন্টার মূলত ফ্রেশ গ্রাজুয়েট এবং ইয়ুথ রিসার্চারদের নিয়ে কাজ করে থাকে। সেই কাজের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের ভিত্তিতে গবেষণার ৫ টি স্কুলের কাজ চলমান রয়েছে। সেখানে ইয়ুথ রিসার্চাররা গবেষণা কর্ম করে থাকেন এবং তা দেশবরেণ্য গবেষকবৃন্দ মেন্টরিং করেন।