• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রশ্ন ফাঁস ব্যাধি থেকে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ, প্রশংসিত আইনশৃঙ্খ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক: প্রশ্নপত্র ফাঁসের কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে চলেছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। যেকোনো পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁসের আশঙ্কা ভর করতো শিক্ষার্থীদের মাথায়। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অবশেষে প্রশ্ন ফাঁস নামক সামাজিক ব্যাধি থেকে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রশ্ন ফাঁসের মতো তৎপরতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। এ পর্যন্ত সারা দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের প্রায় দেড় শতাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সরকারের কঠোর পদক্ষেপের শুরুটা গত বছর থেকে। এর আগের বছরগুলোতে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার গুঞ্জন ওঠার পর থেকে কঠোর অবস্থান নেয় বর্তমান সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে কোনো প্রকার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ছাড়াই সফলভাবে সম্পন্ন হয় গত বছরের পরীক্ষাগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকার। চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁস হবার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি প্রশ্নফাঁসকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিশেষ অভিযান চালু রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই প্রশ্নপত্র ফাঁস নামক সামাজিক ব্যাধি মোটামুটি নির্মূল হয়েছে সমাজ থেকে। রক্ষা পেয়েছে আমাদের শিক্ষাখাত। তবে সমাজ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস, নকলের মতো সামাজিক ব্যাধিসমূহ পুরোপুরি নির্মূল করতে হলে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক সহ শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এসব সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে, তবেই সম্পূর্ণ মুক্তি মিলবে এসব ব্যাধি থেকে।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ডিজাইন, প্রশ্নপত্র বিতরণে ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহারসহ শিক্ষা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। এর ফলে এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শতভাগ সফল হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সরকার। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যরা হাতেনাতে গ্রেফতার হচ্ছে।

সরকারের বিশেষ নজরদারির কারণে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা না ঘটায় স্বস্তিতে পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা।