• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিশু রাইসা হত্যার দায় স্বীকার করেছে দাদী!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০  

টাঙ্গাইলের সখীপুরে  দুই বছরের শিশু রাইসা হত্যার দায় স্বীকার করেছে দাদী সুমা খান। গতকাল  টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের আদালতে  সুমা খান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক এ  জবানবন্দি দেন। ওই স্বীকারোক্তিতে দুই বছরের শিশু রাইসার বাবা রাজু খান তিন থেকে চার বছর আগে নিজের চাচা আরমান খানের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। এরপর তিনি ইরাক চলে যান। দিচ্ছি দিচ্ছি বলেও টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না রাজু। সেই পাওনা  টাকা আদায়ে গত সোমবার বিকেলে আরমান ও তাঁর স্ত্রী সুমা খান অপহরণের পর শিশুটিকে হত্যা করে বস্তায় ভরে লাকড়ির মাচায় লুকিয়ে রাখেন।

 সুমা খান সম্পর্কে সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া গ্রামের ইরাকপ্রবাসী রাজু খানের মেয়ে রাইসার চাচাতো দাদি।


 
নিখোঁজের ছয় ঘণ্টা পর সোমবার রাত ১১টার দিকে আরমান-সুমার বাড়ির লাকড়ি রাখার মাচা থেকে রাইসার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার দুপুরে শিশুর মা লিপা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেশী চাচাতো দাদা আরমান খান (৩৫) ও দাদি সুমা খানকে (২৫) মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে।  

বুধবার সন্ধ্যায়  টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হলে সুমা খান হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।


 

জবানবন্দিতে সুমা বলেছেন, রাইসাকে অপহরণ করে নিজেদের ঘরে আটকে রাখেন। রাইসাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখন আরমানও অন্যদের সঙ্গে রাইসাকে খুঁজতে বের হন। রাইসা কান্নাকাটি শুরু করলে সুমা শিশুটির মুখ চেপে ধরেন। পরে ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শিশুটিকে হত্যা করা হয়। লাশটি বস্তায় ভরে ফেলেন। তবে বাড়ির চারপাশে মানুষের আনাগোনা থাকায় বস্তাটি কোথাও ফেলতে পারেনি সুমা।


 
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম  বলেন, আদালতে শিশু হত্যার দায় স্বীকার করে সুমা খান জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত এই দম্পতিকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।