• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সরকারি রুম প্রেসক্লাবের দাবি করে ইউএনও বিরুদ্ধে অসত্য প্রকাশ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২১  

উপজেলা পরিষদের ভবনের একটি রুমকে সাময়িক ভাবে নিজের জন্য ব্যবহার করলেও পরে রুমটি ছেড়ে দেবার নোটিশ আসলে তা প্রত্যাখান করে প্রেসক্লাবের বলে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করা হয় ইউএনও'র বিরদ্ধে।

 "প্রেসক্লাবে তালা ঝুলিয়ে দিলেন দৌলতপুরের ইউএনও ইমরুল" এমন শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয় গত ২৬ শে মার্চ। বিষয়টি চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে পুরো উপজেলাতে।

জানা যায়, ব্যক্তিগত অফিশিয়াল প্রয়োজনে দ্য নিউ নেশন ও অনলাইন একটি পত্রিকার সাংবাদিক এ.বি. খান বাবু মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের একটি পুরাতন কক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারি প্রয়োজনের তাগিদে রুমটি ছেড়ে দিতে অভিযুক্ত বাবুকে নোটিশ পাঠান। এর আগেও মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার বলা হয় কিন্তু বাবু বিষয়টি আমলে নেননি।  অতঃপর ৩৬ ঘণ্টার সময় বেধে দেন উপজেলা প্রশাসন।  বাবু অতিরিক্ত আর ১২ ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে নিয়েও নির্দিষ্ট সময়ে রুমটি ছাড়েননি। 

প্রশাসন বাধ্য হয়ে  রুমটি তালা লাগিয়ে দেন। পরে ক্ষোভের বশে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরুল হাসানকে জড়িয়ে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করেন। জানা যায়, রুমটি ২০১৪ সাল থেকে প্রেসক্লাব বলে তিনি কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছেন।    

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরুল হাসান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ভবনটি সরকারি। দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেসক্লাবের কিছু সাংবাদিক অবৈধভাবে ভবনটি ব্যবহার করে আসছে। এ বিষয়ে আগে কারও আপত্তি ছিল না। কিন্তু প্রশাসনিক কাজে প্রয়োজন হলে  ক্লাবের সভাপতি এ.বি.খান বাবুকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ভবন ছেড়ে দেওয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশ দিয়েছি। তার মা অসুস্থ থাকায় পরে আরো ১২ ঘন্টা সময় দিয়েছি। তিনি বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ভবনটি ছেড়ে না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে সরকারি স্বার্থ রক্ষায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।  

এর আগেও উপজেলা প্রশাসন নিয়ে চাঁদাবাজির মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে অভিযুক্ত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী বাবু। 

জানা যায়, সাংবাদিক পরিচয় দানকারী এ.বি. খান বাবু উপজেলা চেয়ারম্যানের ইন্ধনে উপজেলার সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ তিনি দৌলতপৃর প্রেসক্লাবের কোন সদস্যই নন। প্রেসক্লাবের অনেকেই তাকে সাংবাদিক হিসেবে মানেন না। নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করেন তিনি। দৌলতপুর উপজেলাতে মাত্র একটিই প্রেসক্লাব আছে যেটির সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ভিক্ষু ও  সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম।  

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জাফর বলেন, সাংবাদিকদের দিয়ে অসত্য সংবাদ পরিবেশন কাম্য না। এটা নির্মম প্রতারণা। জাতির বিবেক হিসেবে যারা পরিচিত তারা স্বার্থ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না।