• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সালমান শাহের অপমৃত্যু মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৩০ মার্চ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বাংলা চলচ্চিত্রে সাড়া জাগানো তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহের অপমৃত্যুর মামলার অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন ৩০ মার্চ জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রোববার সালমানের অপমৃত্যুর নিয়ে অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ধার্য ছিল।

জানা যায়, কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন ওরফে সালমান শাহের। প্রথম ছবিতে বক্স অফিসে বাজি করায় সবার নজরে আসেন তিনি। পরে একের পর এক বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে ২৭টি চলচ্চিত্র উপহার দেন। একই সঙ্গে চলচ্চিত্রে তার অভিনয়, আধুনিক পোশাক, চলন তরুণ থেকে বৃদ্ধদের মুগ্ধ করে। এরপর জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেন তিনি।

পরে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় সালমানের বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী ছেলের মৃত্যুকে অপমৃত্যু উল্লে করে মামলা করেন। তবে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই সেটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরের আবেদন করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত সিডিআইকে দেয়া হয়। সিডিআই তদন্ত শেষে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। তবে সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করলে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্তেএকই প্রতিবেদন দাখিল করে।  

এতে ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নারাজি আবেদন করেন। নারাজি আবেদনে আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন সালমান শাহর হত্যায় জড়িত থাকার কথা জানান। আদালত নারাজি আবেদনটি মঞ্জুর করে র‌্যাব মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

কিন্তু  ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল মামলাটি র‌্যাবকে তদন্ত দেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে ওই বছরের ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক ইমরুল কায়েশ রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা মামলাটি তদন্তের করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।